পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

எ(*ஏ সুপ্রিভাকে একখানি পত্র লিখিয়াছিলাম, সেই পত্ৰখানি সঙ্গে লইয়া গেলাম ; অভিপ্ৰায়, কোন সুযোগে তাহার হাতে পত্ৰখানি পৌছাইয়া দেওয়া। প্ৰথমে কোন উপায়ই দেখিলাম না ; অনেকক্ষণ এদিক ওদিক করিয়া বেড়াইতে লাগিলাম । অনুকূলদের বাড়ীর পাশ্বেই একখানি ভুনার দোকান ছিল, এখনও দোকানখানি সেইখানেই আছে। দোকানদারের একটি ছোট মেয়ে একটা কলসী লইয়া জল আনিতে আসিয়াছিল। আমি তাহাকে ডাকিলাম এবং ও-বাড়ীর দিদিকে চেনে কি না, জিজ্ঞাসা করিলাম। মেয়েটি বলিল, সে সৰ্ব্বদাই ও-বাড়ীতে যায় ; তঁরা সকলেই তাকে ভালবাসেন । আমি তখন সুপ্রভার পত্ৰখানি তাহার হাতে দিয়া চুপে চুপে তাহাকে দিবার জন্য বলিয়া দিলাম। অনেক ভাবিয়াছি, কাজটা কতদূর সঙ্গত হইল তাহা নুতন করিয়া ভাবিবার আর সময় ছিল না। মানুষ যখন কোন কাজ করিবার জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প হয়, তখন কৰ্ত্তব্যবিচার তাহার মাথায় আসে না। আমি একটা গাছতলায় দাড়াইয়া রহিলাম, মেয়েটি চলিয়া গেল। পত্রে লিখিয়াছিলাম, আমি সেই রাত্রেই কোন একটা নির্দিষ্ট স্থানে প্ৰস্তুত হইয়া থাকিব ; সুপ্ৰভা যেন সেখানে উপস্থিত হয় ; তাহাকে কাশীতে রাখিয়া আসিব । . Kof শাস্ত্রে কি বলে, জানি না, ধৰ্ম্মের কাছে আটক পূড়িব কি না, তাহাও৮ ভাবি নাই। আমার মনে হইয়াছিল, সুপ্ৰভাকে বাড়ীছাড়া করিতে না পারিলে সে প্ৰাণত্যাগ করিবে। সে চিন্তাওঁ আমার পক্ষে অসহ। তাই কোন কথা না ভাবিয়া আমি সুপ্ৰভাকে ঘরের বাহির করিতে গিয়াছিলাম। সমাজ-হিতৈষিগণ নিশ্চয়ই আমার এ অপরাধ মাৰ্জনা করিতে প্ৰস্তুত श्शेदन न । '