পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈৰেন্থ এবং শুভ্ৰ মেঘখণ্ড রৌদ্র-প্ৰদীপ্ত নিৰ্ম্মল আকাশে ভাসিয়া চলিতে ढां१िठ । মণ্ডলপুত্র আমির গাছ হইতে নামিয়া আর জলের মধ্যে অন্ত্রের সন্ধান করিল না । পুকুরধারের কালকাসিন্দার বেড়া ডিঙ্গাইয়া, লাল ভেরেণ্ডার জঙ্গল দুই হাতে ঠেলিয়া অদূরবত্তী ধানের জমিতে উঠিয়া একটা আইলের উপর দুই জানুর ভিতর মাথা দিয়া বসিয়া পড়িল। বিশ্ব-সংসার তাহার মাথার মধ্যে ঘুরিতে লাগিল ; আজ সে উন্মত্ত, বাহাজ্ঞানশূন্য। একবার সে জানুর উপর দুই হাতের ভর দিয়া উঠিবার চেষ্টা করিল, কিন্তু কি ভাবিয়া আবার বসিয়া পড়িল। অনেকক্ষণ পরে আবার উঠিল, দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া মাথা নীচু করিয়া চোরের মত পা টিপিয়া পুকুরধারে কালকাসিন্দার বেড়ার নিকটে গেল; অত্যন্ত আগ্রহপূর্ণ তীক্ষদৃষ্টিতে বেড়া একটু ফাক করিয়া দেখিল,-ঘাট অন্ধকার, ঘাটে কেহ নাই। আমির বাধা ঘাটে আসিয়া বসিল, সে কান পাতিয়া শুনিতে লাগিল। অদূরে গাঙ্গুলী-বাড়ীতে দুইজন বাউল খঞ্জনী বাজাইয়া সমস্বরে গাহিতেছে “একদিনও না দেখিলাম তারে, আমার ঘরের কাছে আরাসী নগর, তাতে এক পড়সী বসত করে ।” সেই দিন হইতে আমির কাজ-কৰ্ম্ম ছাড়িয়া দিল। প্ৰথমে কয়েক দিন ৰাড়ীর বাহির হইল না; কেবুল হাঁটুর মধ্যে মাথা দিয়া বসিয়া বসিয়া ভাবে, আর এক একৰ।ার মাথা তুলিয়া কাতর দৃষ্টিতে যেন কাহাকে দেখিতে চায়। বৃদ্ধ পিতা ভাবিয়া অস্থির, মাত কঁাদিয়া আকুল। মণ্ডলের এক