পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भl cकांषांध्र ? চাহিলাম,--বুঝিলাম অনুশোচনায় তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে। বলিলাম, “রামকুমার, তোমার মনের কথা যতই গোপনীয় হোকআমাকে বলিতে পার । মহা অপরাধীকেও পরমেশ্বর ক্ষমা করেন। তোমার পাপ কি বল। পাপীর প্রতি আমার ঘূর্ণা নাই, তোমার প্রতি আমার স্নেহ কখন বিলুপ্ত হইবে না।” রামকুমার বলিল—“মা স্বৰ্গে চলিয়া গেলেও কিছু দিন ধরিয়া আমি এই ভৈরবে মাছ ধরিতাম এবং নৌকায় করিয়া লোক জন পার করিতাম। মনে করিয়াছিলাম, একটা বিবাহ করিয়া সংসারধৰ্ম্ম করিব ; বিবাহের কথাও স্থির হইয়াছিল। কত বৎসরের কথা মনে নাই, কিন্তু মনে আছে তখন বৈশাখ মাস। একদিন সন্ধ্যার আগে খুব মেঘ করিয়া অন্ধকার হইয়া আসিলা। নদীতে তুফান উঠিল দেখিয়া আমি তাড়াতাড়ি আমার নৌকাখানা নদীর কিনারায় বাধিয়া তীরে উঠিলাম। তখন এ স্কুল ঘরা হয় নাই ; এখানে একখানা ছোট মুদীখানার দোকান ছিল। দোকানদারের বাড়ী গ্রামের মধ্যে ; সন্ধ্যার মেঘ দেখিয়া সে সকালে দোকান বন্ধ করিয়া গিয়াছিল। আমি ঝড় জলের মধ্যে আর বাড়ী যাইতে পারিলাম না ; সেই দোকানের বারান্দায় গিয়া বসিলাম। পাশেই একটা শিমুল গাছ ছিল ; মড়মড় করিয়া তাহার দুটাে ডাল ঝড়ে ভাঙ্গিয়া পড়িল, বঁাশ ঝাড়ের যত বঁাশ ছিল, তাহদের লম্বা আগা মাটিতে লুটোপুট কল্পিী শুশ্ৰষ্কণ্ঠগল্য- দেখিতে দেখিতে কড়াকড়ি কড়কড় শব্দে চারিদিক কঁপাইয়া আমার চক্ষুর উপর ঐ কানাইখালির নীলকুটীর লম্বা চিমনিটার উপর বাজু পড়িল। আমি কেঁচার কাপড় গায়ে জড়াইয়া সেই বারান্দায় একটা বাঁশের খুটায় ঠেস দিয়া আকাশের দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিলাম। আবার বিদ্যুতের ঝলক দিল।-সেই আলোকে দেখিলাম দোকান ܠ ܚ