পাতা:নৈবেদ্য - জলধর সেন.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নৈবেদ্য বলিতে পারিলাম না ; তিনি এমনই কাতরনয়নে আমার দিকে চাহিলেন যে, আমার কথা বলিবার শক্তি লোপ হইয়া গেল ; আমি তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম। আমাকে নিৰ্বাক দেখিয়া তিনি অতি মৃদু। মধুর স্বরে বলিলেন *डॉशे, তোমাকে আমার হৃদয়ের যন্ত্রণার কথা বলিব, কিন্তু আজ নহে। আমার কি হইয়াছে, আমি মুখে সে কথা সব বলিতে গেলে স্থির থাকিতে পারি না ; আমার মাথার ভিতরে কেমন একটা গোল হইয়া যায়; কথা কিছুই বলা হয় না। তোমার ঠিকানা আমাকে বলিয়া যাও ; আমি তোমার সঙ্গে দেখা করিব ; তখন সব শুনিও।” এমনই সুন্দর ভাবে এই কয়টি কথা তিনি বলিলেন যে আমি দ্বিরুক্তি दक्षेिऊ श्रांझिंढां न । এমন সময়ে কোন একটী বড় ষ্টেসনে আসিয়া গাড়ী লাগিল, এবং একজন লালা সাহেব তিন চারিটি সঙ্গী এবং কতকগুলি গাঁটরী লইয়া আমাদের প্রকোষ্ঠে উঠিয়া বসিলেন ; আমরা দুইটি প্ৰাণী একেবারে এক কোণে গিয়া পড়িলাম। আমাদের কথোপকথন বন্ধ হইয়া গেল । দিল্লীযাত্রী লালা সাহেবের মামলা মোকদমা, ঘর গৃহস্থালীর কথাবাৰ্ত্তায়, ধনের গরিমায়, প্ৰতাপের হুঙ্কারে - গাড়ীর প্রকোষ্ঠ কম্পিত হইতে লাগিল। আমরা দুইটী গৃহহীন শ্মশানবাসী দুঃখী বাঙ্গালী গৃহস্থের এই সংসার অভিনয় সভয়ে, সসঙ্কোচে, দেখিতে লাগিলাম! লালজির দৃষ্টি অবশেষে আমাদের উপর পতিত হইল। - “ da: সমস্ত ভারতবর্ষে একটি জিনিসের প্রভাব বড়ই বেশী ; তাহার নিকট রাজার উন্নত মস্তকও অবনত হয়, কৃপণের গৃহদ্বারও তাহার নিকটে উন্মুক্ত হয় ;- সে দ্রব্য আর কিছুই নহে—গৈরিক বসন। আমার সঙ্গী সন্ন্যাসীর গৈরিক বসনের উপর যখনই লালজির দৃষ্টি আকৃষ্ট হইল,