পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । לכלל তারে প্রভু মহাধীর । তুমি গুরু পিতৃ মম পুত্ৰ সম আমি । আমার এতেক স্তব কেন কর তুমি । তুমি খুড়া বিশেষত জগতে পূজিত। সাধু জনে তোমা সব সেবয়ে নিশ্চিত ॥ পুণ্য তীর্থ দেবতা বৈষ্ণব আরাধন । অবশ্য এসব সেবা করে সাধুগণ ॥ জলময় যত তীর্থ আছে ক্ষিতিতলে । দেব মূর্তিমান শিলা আছে যে সকলে ॥ সবাকার শ্রেষ্ঠ হয় প্রিয় ভক্তগণ। ত্রিভুবন সম নাহি ভক্তের মতন ॥ এতবলি বিদায় মাগিয়া নারায়ণ। সমুদ্রের তীর দিবা করেন গমন ॥ হেনকালে সুবর্ণ আর অনল দুজনে। পরম্পর দ্বন্দ্ব আর করে জনে জনে সুবর্ণ বলেন আমি শ্রেষ্ঠ সবা হতে। অনল বলেন আমি শ্রেষ্ঠ ত্ৰিজগতে ॥ হেনকালে তথায় দেখিয়া নারায়ণে । দুইজন প্রণাম করেন হর্ষ মনে ॥ তানল বলেন প্রভু করি নিবেদন । মোরা দুইজন মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ কোনজন শুনিয়া ব্রহরি হাসি বলেন বচন। তুমি হে অনল শ্রেষ্ঠ শাস্ত্রের লিখন । হুবর্ণ রুসিয়া বলে একি ঘদূরায় । উহা হৈতে শ্রেষ্ঠ আমি আছি হে ধরায় । আমি যার গৃহে থাকি সেই ধনবান । তার গৃহে সৰ্ব্বদাই লক্ষী অধিষ্ঠান। অগ্নি যদি লাগে কারু গৃহের ভিতরে। জগতেতে সৰ্ব্বজন ব্যাকুল অন্তরে ॥ হাসিয়া হুবর্ণ প্রতি কহেন শ্ৰীহরি | তব পিতা এ অনল শাস্ত্রের বিচারী ॥ তুমি পুত্র হও উহার শুনহ বচন। এত বলি তথা হৈতে জান । নারায়ণ শ্ৰীকৃষ্ণের বাক্য শুনি অনল তখন । পুত্রেরে