পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পভাস খণ্ড । ১২৫ করি যতেক সুন্দরী। রাসলীলা করেন সংহতি লয়ে হরি ॥ বলয়া নুপুর আর কিঙ্কিণী বাজন। ব্ৰজবধুগণ নাচাইছে নারায়ণ ॥ নিজ স্থখে পরিপূর্ণ প্রভু আত্মারাম। সৰ্ব্ব রসে রসিক শেখর গুণধাম ॥ সকল জগত হয় কৃষ্ণের মুরতি । কৃষ্ণ দেখি গোপীগণ আনন্দিত মতি ॥ যত ব্ৰজ-বধূ তত প্রভু নারায়ণ । লীলায় রমণী লয়ে করেন ভ্রমণ ॥ শ্রমযুক্ত হৈল সব গোপীর মণ্ডল। তাহ দেখি চক্রপাণী হইলা চঞ্চল ৷ নিজ করকমলে পুচেন শ্রমজল। পীতধড় দিয়া মুখ মুছান সকল ॥ তবে ব্রজনারীগণ লইয়া সংহতি । যমুনায় জলকেলী করে যদুপতি ॥ শরৎ পূর্ণিমাচন্দ্র রজনী বিরাজে। বিহরে গোপাল ব্রজ যুবতী সমাজে ॥ মহানিশি রছিলেন প্রভাত সময় । গোপীগণে আজ্ঞা দিল প্ৰভু দয়াময় ॥ আজ্ঞা শীরে ধরি গোপী সবে গেল ঘরে । প্রভুর বিচ্ছেদ দুঃখ রহিল অন্তরে। রাসলীলা রসময় কৃষ্ণের চরিত। যেবা পড়ে যেবা শুনে হয়ে একচিত। অতুল ভকতি তার হয় নারায়ণে । ভবসিন্ধু খণ্ডে তার অনাদি বন্ধনে ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা কথা অতি মনোহর । অক্ষয়কুমার রায় ভণে শুন অতঃপর ॥ মৃেঢ়স্থর বধ ও দোল যাত্র । পূর্ণিমাপ্রতিপৎ সন্ধাবারভ্য ফাল্গুণে সমসি । যথ স পশুং কারয়িত্ব তু বহ্নি স্তত্র বিনিঃক্ষিপেৎ ॥