২২৬ পঞ্জাব রাজ্যের ইতিহাস । সৈন্যসহিত ফিরোজপুর সমাগত হইবামাত্র পঞ্চবাক্ৰমণ করাষাইবে । o ইতিপূৰ্ব্বে ৩১ ডিসেম্বর ঐযুত গধরনর জেনরল বাহাদুর ফিরোজপুর হইতে এতদর্ধে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করিয়াছিলেন যে বৃটিলাধিকারস্থ যে সমস্ত হিন্দুস্থানীয় প্রজাগণ লাহোর গবর্ণমেণ্টের ভৃত্যস্বৰূপে যুদ্ধকার্যে নিযুক্ত আছে তাহারা অবিলম্বে আপন২ পদত্যাগ-পূৰ্ব্বক স্বস্বনিলয়ে. আগমন করুক, যেস্থলে উক্ত গবৰ্ণমেণ্টের সচিত মিত্রতাভঙ্গ হইয়াছে সেস্থলে ঐ রাজ্যের ভূতাদিগকে আর মিত্রজ্ঞান করা যাই বেন। যে সকল ব্যক্তির গবর্ণমেণ্টের আজ্ঞাপ্পালন নাকরিবে যদ্ধ সমাধার পর তাহারদিগকে শক্রতুল্য জানিয়া সমুচিত দণ্ড দেওয়া যাইবে । এই ঘোষণায় বহুসহস্র হিন্দুস্থানীয় সেপাহীর। পদত্যাগের উদ্যোগ করিয়াছিল তাহ সুসিদ্ধ নাহুইবায় পলায়নের চেষ্টাপায় পরে শীকাধ্যক্ষের একদা শতদ্রু নদীর পারাবার করণীয় নৌকাবন্ধ করিয়া প্রতিঘাটে শতই সতর্ক রক্ষক নিযুক্তকরত পথরোধ পূৰ্ব্বক লোকদ্বারা বৃটিল সৈন্যমধ্যে এই প্রলোভ জনক প্ররোচনা প্রদান করিতে লাগিল যে বেসকল বৃটিল সৈন্যের শীকদিগের সহিত সংযোগী হইবে তাহারদিগকে বৃটিস গবর্ণমেণ্টের প্রদানীয় বেতনের দ্বিগুণ পরিমাণে যাবজ্জীবন বৃত্তি প্রদায়করা যাইবে, এবং এক্ষণে বসনভূষণ প্রভৃতি স্বর্ণবলয় ও শতপতিসেনানীগণ
