পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ రిని ছেলেটি আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিল, পণ্ডিতমশাই দিলেন । - কুসুম পাঠশালার কথা জানিত না, বুঝিতে না পারিয়! আবার প্রশ্ন করিল, তুমি চরণের বাপকে চেন ? . . চিনি—তিনিই ত পণ্ডিতমশাই। তার কাছে তুমি পড় ! - আমি পড়ি পাঠশালে আরো অনেক পোড়ো আছে। - কুমম উৎসুক হইয়া উঠিল এবা তাহাকে প্রশ্ন করিয়া এ সম্বন্ধে সমস্ত_ জানিয়া লইল । পাঠশালা বাটতে প্রতিষ্ঠিত, বেতন লাগে না, পণ্ডিতমশাই নিজেই বই, শ্লেট, পেনসিল প্রভৃতি কিনিয়া দেন, যে সকল দরিদ্র ছাত্র দিনের-বেলায় অবকাশ পায় না, তাহারা সন্ধ্যার সময় পড়িতে আসে এবং ঠাকুরের আরতি শেষ হইরা গেলে প্রসাদ খাইয়া কলরব ੱਂ ঘরে ফিরিয়া যায় । দুই জন বয়স্ক ছাত্র, পাঠশালে ইংরাজী পড়ে, ಕೆಶಿ যাবতীয় তথা জানিয়া লইয়া কুসুম ছেলেটিকে মুড়ি, বাতাস প্রভৃতি দিয়া বিদায় করিয়া দিয়া চিঠি খুলিয়া বসিল । থের স্বপ্ন কে যেন প্রবল ঝণকানি দিয়া ভাঙিয়া দিল । পত্র তাহাকেই লেথা বটে, কিন্তু একটা সম্ভাষণ নাই, একটা মেহের কথা নাই, একটু আশীৰ্ব্বাদ পৰ্য্যস্ত নাই। অথচ এই তার প্রথম পত্র। ইতিপূৰ্ব্বে আর কেহ তাহাকে পত্র লেখে নাই সত্য, কিন্তু সে তার সঙ্গিনীদের অনেকেরই প্রেমপত্র দেখিয়াছে—তাহতে ইহাতে কি কঠোর প্রভেদ। স্বাক্ষাগোড়া কাযের কথা। কুপ্পনাথের বিবাহের কথা। এ কথা বলিতেই সে কাল আসছিল। বৃন্দাবন জানাইয়াছে।" সম্বন্ধ স্থির করিয়াছেন এবং সমস্ত ব্যয়ভার তিনিই বহিবেন । সব দিক দিয়াই এ বিবাহ প্রার্থনীয়, কেন না, ইহাতে কুঞ্জনাথের এবং সেই সঙ্গে তাহারও সাংসারিক দুঃখ-কষ্ট ঘুচিবে। এই ইঙ্গিতটা প্রায় স্পষ্ট করিয়াই দেওয়া হইয়াছে'।