পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• দ্বিতীয় অধ্যায়। ] ܬܬ শুনিতে পাওয়া যায়। লক্ষ্মীদেবী একবার কি করিয়া চোর ধরিয়াছিলেন, সেই গল্প করিতেছি :-

  • সেকালের মাটীর ঘরে সহজেই চােরে সিদ কাটিত। রাত্রে একই ঘরে ৩৪ বার সিদ কাটার গল্পও শুনিয়াছি। একবার চোরে সিদ কাটিয়া লক্ষ্মীদেবীর ঘরে প্রবেশ করিয়াছে এবং লক্ষ্মীদেবীর গলার অলঙ্কার খুলিবার চেষ্টা করিতেছে, এমন সময়ে লক্ষ্মীদেবীর ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল, এবং চোরকে শক্ত করিয়া ধরিয়া ফেলিলেন ও স্বামীকে ডাকিয়া বলিলেন, “ও মদ ওঠ, আমি চোর ধরেছি”-ওদিকে তঁর স্বামী চোরের নাম শুনিয়াই ঘৰ্ম্মািক্ত কলেবর হইলেন ; তিনি টু শব্দ করিলেন না। লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে অনেক টানাটানি ধস্তাধস্তি করিয়া চোর হাত ছাড়াইয়া পলাইল । তিনি যে এতক্ষণ চোরের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়াছেন, তাহাই যথেষ্ট, আর কতক্ষণ ধরিয়া রাখিকেন ? চোরিত পলাইয়া গেল, তখন পতির উপর লক্ষ্মীদেবী তর্জন গর্জন করিতে লাগিলেন। তঁকে শতবার ধিক্কার দিলেন। কিন্তু সেই অবধি আর কখনও তার ঘরে চোরে সিাদ দেয় নাই। এই লক্ষ্মীদেবী আর একবার বাঘ তাড়াইয়া ছিলেন। তখনকার দিনে মজিলপুর গ্রামে বড় বাঘের উপদ্রব্য ছিল, সেইজন্য এক এক পাড়া বেড়া দিয়া ঘেরা থাকিত। তাহাতে একটি মাত্র সদর দ্বার-তােহা বেলা থাকিতেই বন্ধ করা হইত, তখন পাড়ার সকলে নিশ্চিন্তু মনে কাজ কৰ্ম্ম করিত। একবার অসাবধানতাবশতঃ সদর দ্বার যথাসময়ে বন্ধ করা হয় নাই বলিয়া পাড়ার মধ্যে বাঘ আসিয়াছিল। শিবনাথের পিতামহ ।

ংসন্ধ্যায় নিমগ্ন আছেন, এমন সময় পাড়ায় “বাঘ” “বাঘ” রব পড়িয়া গেল। তিনি ব্যাপার কি দেখিবার জন্য যেমন