পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায় । w8 নয়নতারা তার দৃষ্টান্ত স্থল। রায় মহাশয়ের চরিত্রে দুর্গামোহন দাসের সহৃদয়তার আভাষ পাওয়া যায়। কিন্তু কি জানি প্ৰাচীন সমাজের চিত্রের ভিতর শিবনাথ যতটা সৌন্দৰ্য্য এবং স্বাভাবিকতা অ্যানিতে পারিয়াছেন, নবীন তন্ত্রে তত পারেন। নাই। পৃষ্ঠার কবিত্বও যে কারণে খর্ব হইতে ছিল, ঠিক সেই কারণে উপন্যাসের সৌন্দৰ্য্যও খর্ব হইতে লাগিল, অর্থাৎ-পাঠকের হৃদয়ে ধৰ্ম্মানুগত আদর্শজীবন যাপনের বাসনা যাতে প্ৰবল হয়। এই উদ্দেশ্য লইয়া উপন্যাস লিখিতে বসিয়া তিনি সৌন্দৰ্য্যকে খৰ্ব্ব করিতে বাপ্য হইয়াছিলেন । নরহিতৈষণা তাকে চিত্রকারের সুখ হইতে বঞ্চিত করিতে ছিল। বিধবার ছেলে-তার শেষ বয়সের রচনা সাধুকাৰ্য্যের নেশায় এই বইখানি লিখিয়াছিলেন। পুস্তকখানি প্ৰকাশিত হইলে আমাকে একখানি দিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “তোমার বিধবার ছেলে।” কেমন লাগিল ? আমি বলিলাম, “বাবা এ কি রকম ? তোমার । উপন্যাসের নায়ককে কেন ভাল কাজের বঁাকামুটি করিয়াছ ? কেবল রাশি রাশি সৎকন্ম মাথায় করিয়া বেড়ায় ?” বাবা শুনিয়া। হাসিলেন, বলিলেন,-“ঐ ভাবই আমায় পেয়ে বসেছে ? তাই ত বইটা ভাল হয় নাই তুমি ঠিক বলেছ।” সকলগুলি উপন্যাসের ভিতর উন্নত নীতি, মুক্ত স্বাধীনভাব প্রচার করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। তার লেখা কখনই সৌন্দৰ্য্যবিহীন হইতে পারে না। বাঙ্গালাভাষার উপর তার দখল বড় সামান্য ছিল না । , সংবাদ পত্রে শিবনাথ সময়ে সময়ে যে সকল সুন্দর সুন্দর প্ৰবন্ধ লিখিতেন তার কয়েকটা সংগৃহীত হইয়া প্ৰবন্ধাবলী নামে