বিভাবতী বসুকে লিখিত
শ্রীশ্রীদুর্গা সহায়
পূজনীয়া মেজবৌদিদি,
আমি অনেকদিন হ’ল আপনাকে কোন পত্র দিই নাই। এ সপ্তাহে মেজদাদাকে লেখবার মত কিছু নাই, তাই আপনাকে লিখতে বসেছি। আপনাকে কাজের সম্বন্ধে লেখবার প্রয়ােজন নাই, তাই ঘরকন্না সম্বন্ধে লিখিব।
আমাদের শাস্ত্রে একটা কথা আছে—মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ। অর্থাৎ যেখানে মধুর অভাব, সেখানে গুড় দিয়ে মধুর কাজ সারা উচিত, তাই ছােট ছেলেপুলের অভাব এখানে বেরালছানা দিয়ে মেটান হয়। আমি ছােট ছেলেমেয়ে খুব পছন্দ করি কিন্তু বেরালছানা আমার ভাল লাগে না—বিশেষত যেখানে সব কয়টা বেরালই বদরঙের। তা’ আমার কথা কেহ শুনতে চায় না। আমাদের মধ্যে কেহ কেহ বেরাল ভালবাসে—আর যে সব গরীব কয়েদীরা আমাদের গৃহস্থালীর কাজ করে তারাও বেরাল ও বেরালছানাকে আদর করে। এইসব লােকের বেরাল প্রীতির ফলে এখানে বেরালের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখানে বেরাল সবচেয়ে ভালবাসে যে লােকটি মেথরের কাজ করে—তাকে সবাই “ময়লা-লু” বলে, তার আসল নাম “লবানা”। আর ময়লা সাফা করে বলে তার নাম সবাই রেখেছে “ময়লালু”—বর্ম্মা ভাষায় “লু” মানে “লােক” বা “মানুষ”। সে ময়লা সাফা করে অতএব তার নাম “ময়লালু”। “ময়লালু” কথাটা ভাল লাগে না বলে “মলয়ালু”—তার থেকে ভাল নাম দাঁড়িয়ে গেছে “মলয়”। আমাদের “মলয়” যখন শােয়—তখন তার মাথার কাছে বেরাল, বুকের উপর বেরাল, পায়ের কাছে বেরাল। চতুর্দ্দিকে বেরালের পরিবারের দ্বারা পরিবৃত হয়ে সে
১৫৫