পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo পথের সন্ধান লোককে ত এত করে” খন্দর বুনতে বলছি, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে শ্ৰীতিস্থাপনের জন্যে এত সদুপদেশ শোনাচ্ছি-আবার কি করবো । দেশের লোক যদি আমাদের কথা না শোনে ত আমাদের দোষ कि ?” ኍ কিন্তু জিজ্ঞাসা করি সিভিল ডিসোবিডিয়েন্স করবার এটাই প্রকৃষ্ট রাস্তা। এ কথাটা মেনে নেবার আগে একটু ভেবেছ কি ? দেশের লোক যে তোমাদের কথা শুনছে না। এটা কি সত্যিই দেশের লোকের দোষ ? তোমরা যখন চৌকিদারী ট্যাক্স, নুণের ট্যান্ধ বন্ধ করে” দেবার কথা বলেছিলে তখন ত দেশের লোক তোমাদের কথা বেশ শুনেছিল। তারপর তোমরা যেদিন চৌরিচৌরার দৃশ্য দেখে চিৎপাত হয়ে পড়লে, সেদিন দেশের লোক বুঝলে যে তোমরা মুধু বচনের বাঘ, কাজের কেউ নও। তােমরা বললে“দেশের লোক মানুক আর নাই মানুক, আমরা যে দাওয়াই বাৎলে দিচ্ছি, তাই শাস্ত্রসঙ্গত, তাইতেই রোগ সারা উচিত।” কিন্তু শাস্ত্রসম্মতিক্ৰমে বললেও চলবে না, বা, রোগ সারা উচিত বললেও চলবে না। রোগ যে সারল না তা চােখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি। আসল কথা তোমরা রোগ ঠিক করতেই পারনি। সত্যি কথা হচ্ছে এই যে, তোমরা নিজেদের যত বড় করে” দেখচ, তোমরা তত বড় নাও । তোমরা ঠিক করেছিলে যে কলেজ, আদালত, উপাধি আর কাউন্সিল এই চারটি হচ্ছে ইংরেজ রাজত্বের খুঁটা ; আর এই চারটি সরিয়ে নিতে পারলেই ইংরেজ রাজত্ব হড়মুড় করে” পড়ে।” যাবে। কিন্তু একটু চক্ষু চেয়ে যদি দেখা ত ।