পথ-নির্দেশ পুস্তকেব তালিকাও তাহাব ছিল বটে, কিন্তু সেটাকে কাজে লাগাইবার কিছুমাত্র উপায ছিল না। হেম এই বিশৃঙ্খলা দুই-চাবি দিনের মধ্যেই ঠিক কবিয৷ ফেলিল। একদিন একটা আলমাবি থালি কবিযা সমস্ত বই নিচে নামাইযাছে, এমন সমযে গুণেন্দ্র ঘবে ঢুকিল। তাহাকে দেখিযা হেম বলিল, গুণিদা, এই বইগুলো ঐ আলমাবিতে, আর ওই বইগুলো এই আলমাবিতে বাখলে ভাবি সুবিধে হয । গুণেন্দ্র হাসিযা বলিল, কি সুবিধে তয ? হেম বলিল, বা: সুবিধে হবে না ? দেখ চ না এই বইগুলো এইটাতে রাখলে কেমন— গুণেন্দ্র গম্ভীব হইযা বলিল, দুেখতে পাচ্ছি বটে, খুব সুবিধে হবে। হেম একটা চৌকিব উপব বসিযা পডিযা বলিল, যাও-- কম্ব না, তোমাব ভাল কবৃতে নেই। গুণেন্দ্র একখান বর্ত তুলিযা লইযা হাসিয। বাহিবে চলিযা গেল । এই ঘবটিতে হেমনলিনী দিবাবাত্র পাকিত বলিযl, গুণেন্দ্র আজকাল তাহাব শোবাব ঘবে বসিযাই পড়া-শুনা কবিত। একদিন ববিবাবে দুপুর-বেলা তেম বাহিব হইতে ডাকিযা বলিল, গুণিদা আসব ? ১৮
পাতা:পথ-নির্দ্দেশ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২২
অবয়ব