পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 পত্রধারা >b~ কলকাতায় যাই যাই করি, কিন্তু পা ওঠে না। তার কারণ এ নয় যে এখানকার শ্রাবণের টানে আটকা পড়েছি । কারণটা কিছু সূক্ষ্ম—সাইকোলজিকাল । অাজ চল্লিশবছর হয়ে গেল আমার মনের মধ্যে একটা সংকল্পের সম্পূর্ণ ধ্যানমূর্তি জেগে উঠেছিল, ইংরেজিতে যাকে বলে Vision । তখন বয়স ছিল অল্প, মনের দৃষ্টিশক্তিতে একটুও চালশে পড়েনি। জীবনের লক্ষ্যকে বড়ো করে সমগ্র করে স্পষ্ট করে দেখতে পাবার আনন্দ যে কতখানি তা ঠিকমতো তোমরা বুঝতে পারবে কিনা জানিনে। সে আনন্দের পরিমাণ পাবে আমার ত্যাগের পরিমাপে । আমার শিলাইদা, আমার সাহিত্যসাধনা, আমার সংসার সমস্তকেই বঞ্চিত করে আমি বেরিয়ে এসেছিলুম। আমার ঋণের বোঝা ছিল প্রকাণ্ড, কাজের অভিজ্ঞতা ছিল নাস্তি । তারপরে সুদীর্ঘকাল এই দুস্তর অধ্যবসায়ে একলা পাড়ি দিয়েছিলুম। কাউকে দোষ দিইনি, কারে উপর দায় চাপাইনি, কারো কাছে ভিক্ষে চাইনি। তারি মাঝখানে সংসারের নানান দুঃখ গেল। কিন্তু সেই সময়টাতেই মনের ভিতর মহলে যেন সব আলোই জ্বলে উঠেছিল। সেটা বুঝতে পুরবে যদি ভেবে খে। তখনকার বঙ্গদর্শনে কী লিখছি—তখনকার পার্টিশন