هذه ة ܪ ܗܝ محمد প্ৰাণনাথকে বিষে ছাইল রে। ( ধুয়া ) কেরে জাগ কেরে জাগ গারুড়িয়া ওঝা । বাসরে ঢলিল প্ৰভু চম্পকের রাজা ৷ কান্দে অভাগিনী বেহুলা লখাইরে কোলে করি প্ৰাণের অধিক প্ৰভু কারে দিলাম। ডালি গারুড়িয়া ওঝা কেবা জাগে আগে । দেখ আসিয়া প্ৰভুরে দংশিল কালনাগে ৷ নাগিনী দংশিল প্রভুর প্রাণ গেল। কপাল চিরিয়া দেখি বিধি কি লিখিল ৷ ঢলিয়াছে প্ৰাণনাথ চৈতন্য নাই । বাসর ঘর শূন্য আমার করিলা গোসাঞি সুন্দর। প্ৰভু মোর ধূলায় লোটায়। শুনিয়া কি বলিবে আমার বাপ মায় ৷ পূৰ্ব্বজন্মে করি আমি হরিলাম পতি। সত্যাশাপ দিলে মোরে ব্ৰাহ্মণের যতী ৷ কত পাপ করিলাম মুষ্টি পূর্বকালে। তেকারণে এত সব ফলিল আমারে ॥ শ্বশুর কুলে কেহ নাই বংশে দিতে বাতি মায় দিল বৃরণসজ্জা বরিবার স্তরে । প্ৰাণনাথ ট্রালিয়াছে বরিব কাহারে ৷ সিথির সিন্দুৱে আমার না পড়িল কালি কঁচা রাড়ী বলি মোরে কেবা দিল গালি সুন্দর বদন বহিয়া পড়িছে গরল। বাসরে সুন্দৱী। বেহুলা কান্দিয়া বিকল ৷ রজনী প্ৰভাত কালে কোকিলের ধ্বনি । শয্যা ত্যাগি বাহির হইল সোনেক রাণী | সোনেকার বিলাপ প্ৰভাতে উঠিয়া রাণীর আনন্দিত মন । আইও আইও বলে রাণী ডাকে ঘনে ঘন৷ রাণী বলে আইও তোরা গুয়া পাণ খাণ্ড। লখাইরে বেড়িয়া সবে মঙ্গলগীত গাও ॥৭ চৌদিক চাপিয়া বাজে মঙ্গল বাজন । আইওগণ লইয়া রাণী করিল গমন ৷ আইওগণে সোণা। রাণী ডাক দিয়া আনে । লখাইরে বরিতে যাব আন জনে জনে ॥ বরণ-কুলা মাথায় লইয়া সোনেক সুন্দরী। আগে পাছে সখীগণ চলে সারি সারি ॥ সোনা বলে সখীগণ তোরা কেনে আও না । কালনিশি প্ৰভাত হইল মঙ্গল কেন গাও না সোনা বলে সখীগণ বলি সবার ঠাই । মনসাধ সবে মিলি বরিব লখাই ॥ রাত্রিকালে আইল লখাই বধু সঙ্গে লইয়া। কল্য না বরিলাম লখাই কামনা পুরিয়া ৷ নৃত্য-গীত ভৈলাহুলী চিত্ত নহে বান্ধে । এক সখী উঠি বলে তোর বধু কেন কান্দে ॥ এই কথা শুনি রাণী হইল মুচ্ছিত। লখাই লখাই বলি রাণী পড়িল ভূমিত৷ রাণী বলে লক্ষ্মীন্দর আমার কথা রাখা । রজনী প্রভাত হইল মা বলিয়! ডাক ॥ মাথা হইতে বরণ কুল ফেলে আছাড়িয়া । ভূমিতে পড়িল ।রাণী হাহাকার করিয়৷ ক্ষণে উঠে ক্ষণে বসে ক্ষণে গড়ি যায় ৷ উচ্চৈস্বরে কান্দি বলে রাম রৈলা কোথায় ॥ কি শুনালে সখীগণ শুনাও আবার । সত্য কি মরেছে আমার বালি লক্ষনীন্দর ৷ আলুথালু চুলে ধায় পাগলিনীর বেশে । ত্বরিত চলিয়া গেল বাসরের পাশে ৷ 曼
