পাতা:পদ্মাপুরাণ - নারায়ণ দেব.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See অধিক নির্ভর করিয়াছিলেন। মনসাদেবীর প্রভাব দেখাইতে যাইয়াই লক্ষীলয়াকে সৰ্পদংশন BDBDBuB BBDDDB BDDDu uBDD DB DBDB BDB BBDD irB BDDD uLS নারায়ণ দেবেয় যে পুথি আমরা প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহাতেও ঘটনা। এইভাবেই সাজান আছে অৰ্থাৎ মনসার জন্মকাহিনীর পরে তাঁহার প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখাইবার উদ্দেশ্যেই প্ৰথমে কতিপয় অনুকূল ঘটনার সমাবেশ করিয়া তৎপরে লক্ষ্মীন্দরের সর্পদংশন-বৃত্তান্ত দেওয়া হইয়াছে। লক্ষ্মীন্দরের জন্মবৃত্তান্ত ও তদুপলক্ষে চাঁদ সদাগরের কাহিনী আনুষঙ্গিক ভাবে উল্লিখিত হইয়াছে। গায়কগণ ও লেখকগণ ঘটনাটিকে পরে নিজেদেয়। ইচ্ছামত অন্যভাবে DDDBBDB BDD DB D S BDBYSBBSBDDB BBDB BDBDD DuB DDBDBDDB পদ্ধতি অনুযায়ী নারায়ণ দেবের মনসামঙ্গলও কালক্রমে গীত হইত বলিয়া ঘটনায় পৌৰ্ব্বাপর্য্য সব পুথিতেই প্রায় একইরূপ হইয়া দাড়াইয়াছিল। আমাদের এই পুথিতে ঘটনাগুলির সমাবেশ একটু বিশৃঙ্খল মনে হইলেও মনসামঙ্গল কাব্যের প্রাচীন রূপ হিসাবে ইহার মূল্য আছে। আমাদের সংগৃহীত নারাযণ দেবের পুথিখানি সম্ভবতঃ মূল পুথি অনুযায়ী লিখিত হইয়াছিল। এই জন্য ইহা দেবতার স্তবস্তুতি দিয়া আরম্ভ হয় নাই, কোনরূপ পৌরাণিক প্রসঙ্গের সবিস্তার অবতারণাও ইহাতে নাই । পুথিখানি খণ্ডিত হইলেও ইহা দেখিয়া এইরূপই মনে হয়। বারমাসী, ছয়মাসী, কঁচুলী নিৰ্ম্মাণ, চৌতিশ প্রভৃতি সংস্কার-যুগের সাহিত্যের অনেক বিষয়বস্তু পুথিখানিতে নাই। এমনকি ইহাতে গুয়াবাড়ী-কাটা পালা, ধন্যস্তারি-বধা পালা, হাসন-হোসেন পালা প্রভৃতিও নাই । এই পুথিখানির একটি বিশেষত্ব এই যে ইহাতে “ বারক্ষেত্র ” নামক বারটি যক্ষের ও তাঁহাদের অনুচরবগের উল্লেখ আছে। ইহা ছাড়া পুথির আর এক বিশেষত্ব চন্দ্ৰধর ও সাহেরাজার যুদ্ধ-বৰ্ণনা । ইহা নারায়ণ দেবের অন্য কোন পুথি বা অন্য কোন কবির পুথিতে দেখা যায় না। এই পুথিতে বৈষ্ণব-প্রভাব খুব অল্প, এবং যাহা আছে তাহাও একটু বিশেষত্বব্যঞ্জক। সাধারণতঃ “হরি ” বা “কৃষ্ণ ” নামের উল্লেখ না করিয়া তৎস্থলে “ রাম ” নাম ব্যবহার করা হইয়াছে। এই সব বিশেষত্ব লক্ষ্য করিয়া কোন সুনির্দিষ্ট সিন্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন হইলেও ইহা হইতে নারায়ণ দেবের প্রাচীনত্ব-সম্বন্ধে কতকটা নির্দেশ পাওযা যায় । (g) মনসাদেবীর জন্ম ও বিবাহ প্রভৃতির বিভিন্ন কাহিনী সংস্কৃত সাহিত্যের দেবীভাগবত, ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণ, পদ্মপুরাণ ও মহাভারতে পাওয়া যায়। ঘটনাগুলি সম্বন্ধে মতানৈক্যও দেখা যায়। বাঙ্গালা মঙ্গলকাব্যে এই দেবী-সম্বন্ধে বাণিত আখ্যানবস্তু সংস্কৃত পুরাণাদি হইতে মলতঃ গৃহীত হইলেও সংস্কৃত পুরাণবহির্ভূত অনেক কথা ইহাতে আছে। ইহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য । চাঁদ সদাগর ও বেহুলার বৃত্তান্তের ন্যায় অপৌরাণিক ঘটনাগুলির মাল কোথায় তাহার অনুসন্ধান আবশ্যক। তাঁহাতে অনেক নূতন তথ্য জানা যাইতে পারে। নারায়ণ দেব ও মনসামঙ্গলের অন্যান্য কবিগণ মনসাদেবীকে অত্যন্ত হীনস্বভাবসম্পন্না করিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। মনসাদেবী ভক্তের ভক্তির পাত্রী হইলেও তাঁহার স্বভাব উন্নত স্তরের করিয়া অঙ্কিত হয় নাই। স্বীয় পূজা-প্রচারের জন্য তিনি অনেক হীনকাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছেন।