পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ । 66 রুদ্ৰ প্ৰয়াগ, এবং সোমপ্রয়াগেও সঙ্গমস্থলে অত্যন্ত ভয়ানক স্রোতাবেগ । যাত্রীদিগকে তত্তৎস্থানে স্নানার্থ অতি সন্তৰ্পণে নামিতে হয়। কিন্তু বিষ্ণুপ্রিয়াগ ভীষণ হইতেও ভীষণ তর । বাপ, জলের কি বেগ । একদিক তইতে বিষ্ণুগঙ্গা, অন্য দিক তইতে অলকানন্দ-উভয়েই পৰ্ব্বতদ্বয়ামধ্যস্ত সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া উন্মাদিনীর ন্যায় ছুটিয়া আসিয়া যেন আছাড় খাইয়া পড়িয়াছে—দুই স্রোতস্বিনীর সংঘর্ষণে কি এক ভীষণ অবস্থা দাড়াইয়াছে, তাহা বৰ্ণনা করা অসাধ্য; গাজ্জনে কাণ বধির হইয়া যায়-দর্শনে মস্তিষ্ক সুরিয়া যায় । ভীরু যাত্রীরা, বিশেষতঃ স্ত্রীলোকেরা, প্রায়শঃ এই কাণ্ড দেখিয়া জলের কাছে "আসিতে সাহসী হয় না । যাহারা প্ৰয়াগের সুনফল পাইতে চায়, তাহারা প্রায়ই ঘটি দিয়া জল তুলিয়া স্নান.করে । আমাদের কিন্তু ইহাতে তৃপ্তি ঠাইল না । ডুব দিয়া স্নান করিতেই হইবে । একটু সাহস করিয়া নিকটে গিয়া উপায় উদ্ভাবন করা গেল । দুই স্রোতের সম্মিলনস্থানে স্নান করা মানবের অসাধা, তবে প্রস্তরময় সঙ্গমস্থলে এমন স্বল্প-পরিসর কুণ্ড আছে, নাহাতে একটি লোক কোমর জলে দাড়াইয়া অপেক্ষাকৃত নিরাপদে স্নান করিতে পারে। তথাপি একজন ঘাট-পুরোহিতের হাত ধরিয়া অতি সাবধানে নামিয়া অদ্ধ মিনিট মধ্যে কাজ সারিয়া নিলাম। তৎপর তপণক্রিয়া সম্পাদনপুর্বক ঘাটের উপরিস্থিত দেবালয়ে নারায়ণ সনদশন করিয়া পথ চলিতে আরম্ভ করিলাম। এখানেও একটি ক্ষুদ্র চটে আছে। এখান চাইতে যে পথে চলিতে লাগিলাম, তাহা কেদারের পথের ন্যায় স্বল্পপরিসর এবং শড়কের উপরিভাগে মসৃণতা খুব কম। ফল কথা, যোশীমঠ পৰ্য্যন্ত নীতিপাসের পথ-তাহাতে সরকারের মনোযোগ বেশী-তৎপর যাত্রীর পথ। যাহা হউক, সরকার বাহাদুর কৃপা করিয়া