পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W& বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । দূরে থাকাতে সমস্ত অবয়ব সুস্পষ্ট দেখা যায় না। তবে দেহ সংস্থান ষে প্ৰচলিত চিত্রের অনুরূপ, তাহা বেশ বুঝা যায়। নারায়ণের পার্শ্বে অন্যান্য মুক্তি অস্পষ্ট, দৃশ্য। তবে চিত্রে উদ্ধাব নারায়ণাদিকে যে ভাবে অঙ্কিত করা হইয়াছে, সেরূপ কিছু দেখিতে পাইলাম না । ফলতঃ চিত্রটি অতি রঞ্জিত । দুইটি প্ৰবেশ-দ্বার ব্যতীত মন্দিরের মধ্যে আলো আসিবার বা বস্থা নাই ! প্ৰবেশ দ্বারা দিয়া মন্দিরের সম্মুখের বড় হলটিতে অর্থাৎ জগমোহনে যাওয়া যায় ; তৎপর পশ্চিমাভিমুখে নারায়ণের প্রকোষ্ঠের পোর্টকোর ভিতর ঢুকিয়া বড় জোর উচ্চার দ্বারদেশ পৰ্য্যন্ত যাওয়া যায় । পুজাদি শেষ হইলে ঐ পোটিকোর প্রবেশ পথ বদ্ধ হইয়া যায় । জগমোহনের প্রবেশদ্বার অন্ততঃ দক্ষিণেরটি, সৰ্ব্বদা খোলা থাকে ; তবে দর্শনের সময় পাহারা বসে, যাহাতে সমস্ত লোক যুগপৎ উহাতে না ঢুকিতে পারে। সন্ধ্যার পূর্বে অথবা পরে আবার ভিতরের দ্বায় খুলে ; তখন ভোগ আরতি হইয়া নারায়ণের শয়নের নিমিত্ত ঐ দ্বার বন্ধ করা হয় । বন্দরীধামে তুলসী পাওয়া যায় না। ডাক্তারবাবু সঙ্গে করিয়া তুলসী লইয়া আসিয়াছিলেন, তাহ অন্যান্য উপহারের সঙ্গে নারায়ণকে অৰ্পণ कब्र झईट । যাহা হউক, আমরা নারায়ণের স্নান দেখিয়া এবং সেখানে উপহার চড়াইয়া আসিয়া পিণ্ডদানার্থ ব্ৰহ্মকপাল-তীর্থে গেলাম। ইহা বন্দরীর মন্দির হইতে অল্প দূরে ঈশান কোণে অলকানন্দার তীরে। ঐ স্থানের ব্ৰাহ্মণ স্বতন্ত্র এবং নাকি আমাদের অগ্ৰদানী ব্ৰাহ্মণের ন্যায় পতিত । পুর্বে মন্ত্র জানা থাকিলে উহাদের উচ্চারিত মন্ত্র বুঝিতে ক্লেশ হয় না । ইহাদিগকে যথোচিত দক্ষিণাদি দিয়া ঐ স্থানে অলকানন্দার ব্ৰহ্মকুণ্ডে তৰ্পণ করা গেল। তার পর সেই স্থানের এক যজ্ঞকুণ্ডে: আহুতি