পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশুরাম কুণ্ড । 《> যায়। সচরাচর নৌকাযোগেই যাত্রীরা চৌখাম গিয়া থাকে। নৌকার আকার অনুসারে পথ ভিন্ন ভিন্ন হইয়া থাকে ; যদি নৌকা বড় হয় তবে উহা কেবল ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ উজাইয়া চলিতে পরিবে। তাহা হইলে যাত্রীদিগকে প্ৰায় ৪৷৫ দিনে চৌখাম পৌছিতে হয়। স্রোত ঠেলিয়া ব্ৰহ্মপুত্ৰ দিয়া যাইতে স্বভাবতই নৌকার গতি মন্দ হইয়া থাকে। তৎপর প্রায় অৰ্দ্ধ পথ গেলেই মধ্যে মধ্যে খরস্রোত প্ৰস্তর-সন্ধুল বাধা পাওয়া যায়। বড় নৌকা ঠেলিয়া ঐ সকল বাধা পার হইতে বহু সময় ব্যয়িত তইয়া থাকে। এই নৌকা বরাবর চৌখাম পৌছে না, কেন না চৌখাম ব্ৰহ্মপুত্র নদের তীরে নহে। যাত্রীরা মিশমিঘাট নামক স্থানে নৌকা হইতে অবতরণ করিয়া প্ৰায় ৫ মাইল অরণ্যপথে চলিয়া চৌখাম পৌছে । কোনও কোনও বড় নৌকার যাত্রী সদিয়া হইতে নৌকা রওয়ানা করিয়া স্থলপথে চুণপুড়া গিয়া নৌকায় উঠে ; ইহাতে দুই দিনের জন্য নৌকাপথের ক্লেশ হইতে অব্যাহতি পাওয়া যায়। কিন্তু কষ্টকর পথ চূণপুড়ার পরে আরম্ভ হয়। যাহারা ছোট নৌকায় যাত্ৰা করে তাহারা ব্ৰহ্মপুত্ৰ উজাইয়া ১৩১৪ মাইল আন্দাজ গিয়া নোয়াদিহিং নদীর মুখে প্ৰবেশ করিয়া টেঙ্গাপানি নামক একটি ক্ষুদ্র নদী প্ৰাপ্ত হয়। এই নদীর তীরেই চৌখাম অবস্থিত । অতএব ক্ষুদ্র নৌকার যাত্রীরা বরাবরই চৌখাম পৌছিতে পারে। এই ক্ষুদ্র নদীতেও বঁাধ আছে। তবে এইগুলি ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীর বঁধের ন্যায় তেমন ভয়ানক নহে। বড় ছোট ভেদে নৌকার তারতম্য হয় কেন ? ইহার কারণ আছে। পরশুরাম তীর্থযাত্রীরা প্ৰায়ই দরিদ্র, অধিকাংশই সাধু সন্ন্যাসী। তাহার ৪০/৫০ জন। একত্ৰ হইয়া একখানি শতমোগী নৌকার বন্দোবস্ত করিয়া তৎসাহায্যে সদিয়া হইতে চৌখাম অভিমুখে যাত্রা করে। বলা বাহুল্য নৌকাতে তাহারা অবস্থান কমই করিয়া থাকে ; নৌকা চলিতে থাকে, তাহারা ব্ৰহ্মপুঞ্জের