পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । No

  • মণিভদ্রপুর’ ; ডাক নাম “মান” । টঙ্গার নিকটেই গণেশগুহা । কথিত আছে যে, ব্যাসদেব ও গণেশ এখানে বসিয়া পুরাণাদি লিখিয়াছিলেন । ব্যাস-গুহার কথা কেহ কিছু বলিতে পারে না ; অনেকে গণেশগুহাকেই ব্যাস-গুহা বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকে ।

এই স্থান হইতে সরস্বতী-গঙ্গার তীর দিয়া চলিয়া, আর একটি ছোট পুল পার হইয়া, পাহাড় ছাড়াইয়াই বসুধারার জলপ্রপাত দেখিতে পাইলাম। উচ্চ পৰ্ব্বত-পৃষ্ঠ হইতে ধারাকারে জল পড়িতেছে, কিন্তু ঐ ধারা BBDBu DBDD DDBD BDD BDBDBBBD BDBuH BDuDuS ধারা দেখা গেলেও ঐ পৰ্ব্বতের নিকট পৌছিতে আমাদের অনেক সময় লাগিল। পথ তেমন আর স্পষ্ট চিনা যায় না, যাহা হউক। ধীরে ধীরে চলিতে লাগিলাম । বাতাস বহিতেছিল ; উত্তরাদিকে কেবল বরফ —বরফের ময়দান দেখিলাম। পথেও কিছু কিছু বরফ পাইলাম । তার পর একটু খাড়া চড়াই উঠিয়া যে স্থানে ধারা পড়িতেছিল, তাহার সন্নিকটে একটি কুটীরে শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। এই কুটীরের দুই দিকে দুই জন সন্ন্যাসী ধুনী জালিয়া বসিয়া আছেন-কাহারও সঙ্গে শব্দ করেন না। আমাদের পূর্বে কতকগুলি পাঞ্জাবী স্ত্রী-পুরুষ ঐ কুটীরে আশ্রয় লইয়াছিল, আমরাও গিয়া উহাদের সঙ্গে সঙ্গে ধুনীতে আগুন তাপাইতে লাগিলাম। সন্ন্যাসীরা ঐখানেই থাকেন; যাত্রী কেহ কেহ গেলে তঁহাদিগকে পয়সা, খাদ্যদ্রব্য ইন্ধনাদি দিয়া আইসে। কুটীরের বাহিরে একজন ব্ৰাহ্মণ কতকগুলি দেবমূৰ্ত্তি লইয়া বসিয়া আছেন-যাত্রীরা বসুধারায় স্নান করিয়া ঐ স্থানেও কিছু দিয়া থাকে । গােমস্তাজী সঙ্গে ছিলেন—বলিলেন বহুধারার জল পাপীর উপর বর্ষে না । শুনিয়া কিছু চিন্তা হইল। তারপর দেখিলাম, সকল যাত্রীই