পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գեյ- বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । জলাধার আরও দুই একটি দেখিয়াছি। এইগুলির তলদেশের সহিত প্রস্রবণের যোগ আছে বলিয়া বোধ হইল । তারপর মাইল খানিক গিয়া মাসি চটি পাওয়া গেল। এইটি বেশ বড় চটী । তৎপর ৪ মাইল চলিয়া সন্ধ্যার কিছু পুর্বে বুড়া কেদারের স্থানে পৌছিলাম । আমরা যে দুইটি লোক নিযুক্ত করিয়াছিলাম, ইহাদের একটি ব্ৰাহ্মণ, অপরটি ছত্রি। উভয়েই নিতান্ত অকৰ্ম্মণ্য-সামান্য ১৮১৯ সের মাত্র বোঝা নিয়াও চলিতে পারিল না । অথচ ইহাদের দুই জনের বোঝা এক জন গাড়োয়ালী কাণ্ডি ওয়ালা অনায়াসে লইয়া যাইত । ইহাদের নিমিত্ত আমাদিগকে এই স্থানেই রাত্রিযাপন করিতে হইল । সন্ধ্যার সময় রামগঙ্গা ছাটিয়া পার হইয়া চটির অপর-পার্শ্বস্থ বৃদ্ধ কেদারের মন্দিরে গেলাম। মন্দিরটি প্রাচীন বলিয়া বোধ হইল । এ স্থানের ব্ৰাহ্মণদের অবস্থা বড় ভাল নয়। আলমোড়ার রাজা রুদ্রসেন নাকি আন্দাজ চারি শত বৎসর পূৰ্ব্বে বৃদ্ধ কেদারের নামে কিছু ভূসম্পত্তি তাম্রশাসন দ্বারা দান করেন—উহাই এখন সমস্ত ব্ৰাহ্মণমণ্ডলীর জীবিকা । নূতন পথে যাত্রীরা এখানে আসে বটে, কিন্তু কেদারের দর্শনার্থ নদীর অপরপাশ্বে অতি কম যাত্রীই গিয়া থাকে । ৰূ কেদার একটা গোল দীর্ঘ প্রস্তর ; ভূপতিত অবস্থায় বিরাজমান। দৈর্টে ৬৭ হাত এবং বেড় ৩৪ হাত হইবে । মন্দিরে পাৰ্ব্বতীও আছেন । আমরা সান্ধ্য আরতি দেখিয়া রামগঙ্গা পুনরায় পার হইয়া একটি ভগ্ন দোতালা ধৰ্ম্মশালায় রাত্রিযাপন করিলাম । ,