পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኴ” পরশুরাম কুণ্ড । শীত ঋতু ভিন্ন পরশুরামে কেহ যাইতে পারে না ; অগ্রহায়ন হইতে বড়জোর ফাস্তুন, এই কয় মাসই পরশুরাম যাত্রার সময় । অর্থাৎ যখন বৃষ্টি বাদলের সম্ভাবনা অল্প, অনাবৃত স্থানে পত্ৰমাত্ৰাচ্ছাদনে সারারাত্ৰি অগ্নি জালিয়া থাকিতে কোনও বাধা জন্মিবার আশঙ্কা কম, তৎকালেই পরশুরাম যাইতে পারা যায় । কেবল নৌকায় চলিতেই যে এইরূপে রাত্রি যাপন করিতে হয় তাহা নহে । সদিয়া ছাড়িয়া পুনশ্চ সদিয়ায় ফিরিয়া না আসা পৰ্য্যন্ত স্থল পথেই চল, আর নৌকায়ই চল, প্ৰত্যহ রাত্ৰিতে এইরূপেই অবস্থান করিতে হইবে । পাশ্বস্তু অগ্নি যখন নিৰ্ব্বাণোন্মখ হয়—তখন if: পুনশ্চ কাষ্ঠাদি দানে উহা সংরক্ষিত করিতে হয়। এই নিমিত্ত কাহাকেও ডাকিয়া জাগাইতে হয় না, শীতপ্রভাবেই নিদ্ৰা ভঙ্গ হয়। রাত্রির অবসানে সকলকেই প্ৰাত:কৃত্য ও মধ্যাহ্নকৃত্য, এক সঙ্গে সমাধা করিয়া ফেলিতে হয়। বেলা ৭টা কি ৮টার পুর্বে মাল্লারা নৌকা ছাড়ে না । আবার নৌকা ছাড়িবার পরে মাল্লাদের তামাকু সেবনাৰ্থ কিংবা চা খাইবার নিমিত্তে মধ্যে মধ্যে অতি অল্প সময় বিশ্রাম করা ভিন্ন, নৌকার গতি সন্ধ্যার পুৰ্ব্বে আর স্থগিত হয় না । তাই স্নানাহার কাৰ্য্য ও প্ৰাতঃকালে সারিয়া ফেলিতে হয়। পরশুরামে এই পৰ্য্যন্ত বিলাসী বাবু কেহ গিয়াছেন কি না জানিনা, এই তীৰ্থ এখনও সাধুসন্ন্যাসীরই তীর্থ। গৃহস্থ যাহারা যায়, তাতারা শয়নে ভোজনে সাধুসন্ন্যাসীর ন্যায়ই আচরণ করিয়া থাকে। মৃত্তিকার উপরে কোন প্ৰকার কম্বলাদি বিছাইয়া পাশ্বে ধুনী জালিয়া শয়ন ; আর আলুভাতে জ্বাল দিয়া-য়ুত লবণ সংযোগে কিঞ্চিৎ গলাধঃকরণ, ইহাই ভোজন। সদিয়া হইতে আমি একাকী একখানা ছোট নৌকা ১৫২ টাক্ষা ভাড়া দিয়া আনিয়া ছিলাম, ইহাতে ইচ্ছানুরূপ শুইয়া বসিয়া নৌকাযাত্ৰা BDD BBBD LBtBBDSTeuD Duu BDBDDDBB DDD DDS BL BY করিতে জলে নামিয়া নৌকাও টানিতে হয় নাই। কাষ্ঠ সংগ্ৰহ কুটার