পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রেম পরিভ্রমণ । ছিলেন। আমারই সৌভাগ্য, কোনও বিশিষ্ট বন্ধুর উদ্যোগে বারাণসীতে আমাদের মিলন হইল । ১৩১৭ সালের ২৫শে বৈশাখ তারিখে উভয়ে পাঞ্জাব মেলে হরিদ্বার অভিমুখে রোয়ানা হইলাম। হরিদ্বার । পরদিন। ২৬শে বৈশাখ সোমবার অমাবস্যা মৌনী অক্ষয়া, হরিদ্ধারে গঙ্গাস্নান করিয়া বদরিক! যাত্রার আয়োজন করিতে লাগিলাম। সত্বরই। বন্দরীনাথ ও কেদারনাথের পাণ্ড; ঠিক হইল ; উহাদের নিযুক্ত একজন গোমস্ত। ব্ৰাহ্মণ আমাদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক রূপে যাইবেন । আমাদের জিনিষ পত্ৰ বহুনার্থ একজন কাণ্ডী ওয়ালা ও নিযুক্ত হইল ; কিন্তু পাকা বন্দোবস্ত হইল না, তাঙ্ক। পরে হইয়াছিল। এখান হইতে যাত্রীরা গিরিপথ শৰ্মাণের সহায় বংশলষ্টি এবং আবশ্যক মত শীতবস্ত্ৰ, পাকের বাসন প্রভৃতি সংগ্ৰহ করিয়া থাকে। এখান হইতে সঙ্গী মহাশয় গেরুয়া রঙ্গের ধুতি কামিজ ও চাদর পরিধান করিলেন ; আমি গৃহী হইয়া “ভগবদ্বস্তু” ব্যবহার করা সঙ্গত মনে না করাতে তাহার ‘সমাবেশ” হইতে পারিলাম না । তাহাকে তদবধি “স্বামীজী” সংজ্ঞা প্ৰদান করিলাম । গোমস্ত এবং কাণ্ডাওয়ালাও ঐ নামে তাহাকে সম্বোধন করিত । হরিদ্ধারে আমরা উভয়েই পূৰ্ব্বে এক একবার আসিয়াছিলাম, তাই এখানে কালক্ষেপণ অনাবশ্যক মনে করিলাম ।