পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ । S ডাইলের মূল্য বেশী নয়, আমরা মুগ ভিন্ন অন্য ডাইল খাই নাই ; কিন্তু ইতার বেশ অৰ্দ্ধেক পরিমাণেরই ত্বক দৃঢ় সংলগ্ন থাকিত। অতএব আমরা প্রায়শঃই আলুসিদ্ধ, ঘুত, একটা কাচকলা বা মিষ্ট কুমড়ার তরকারী খাইতাম। পাকের কৰ্ত্তা ডাক্তারবাবু, হরিদ্র খান না—তবে তিনি বাড়ী হইতে অন্যসমস্ত মসলার গুড়া ও পাচফোড়ন আনিয়াছিলেন । পথে লাকড়ি অবশ্য মহাৰ্ঘ পাই নাই, ৫ পয়সায় আমাদের পাক হইত। এক এক চটিতে অনেক ঘর আছে, ঘরের মালিক ভাড়া নেয় না, কেননা বদরী যাত্রীর কােছ হইতে উক্ত গ্ৰহণ করা পাপ ; কিন্তু তাতার ঘরে থাকিতে হইলে তাতার দোকান তহঁতে জিনিষ কিনিতে হইবে । এই জন্য ও জিনিষের দর অনেকটা বেশী হইয়া পড়ে। তবে প্ৰত্যেক যাত্রীকে, জল আনিবার জন্য ঘড়া এবং পাকের পাত্র না থাকিলে তাহী, দোকানদার যোগাইয়া থাকে । ইতার জন্য পয়সা নিবে না । পাকের স্তান ও উহারাই পরিস্কার করাইয়া থাকে । পথে ১৩ মাইল অন্তরাষ্ট চটি পাওয়া যায়। ঘরগুলি প্ৰায়শঃ পণকুটার ; কিন্তু যেখানে শীতের প্রকোপ কিছু বেশী, সেই সকল উচ্চতর ভূমিতে কাঠ পাথরের পাকা মোকামই বেশী এবং দোতালাগুহও পাওয়া যায়। জল প্ৰায়শঃ ঝরণার। তবে নিম্নতর ভূমিতে নদীতেও যাওয়া যায়। প্ৰত্যেক চটিতেই একজন ভাঙ্গি নিযুক্ত আছে। যাত্রীরা ঝাড়ে ঝোড়ে শৌচ কৰ্ম্ম করিয়া থাকে। প্রস্রাব যাত্ৰ তত্ৰ করিতেই দেখা যায় । ভাঙ্গির মাত্ৰ দুইটি কাৰ্য্য দেখা যায় । ( ১ ) চটির ১ ফালং পরিমাণ আগে ও পাছে এক একটা নিশান পুতিয়া রাখা ; এবং ( ২ ) কেহ ঐ দুই নিশানের মধ্যে শৌচ কৰ্ম্ম করিলে তাতার কাছ হইতে পরিষ্করণার্থ পয়সা আদায় করা। আমরা এই লাল নিশানের নাম “ডিষ্টেণ্ট সিগ্রেল” রাখিয়াছিলাম। পাতাড়ের বাকের ভিতর কোনও চটি দূর হইতে অদৃশ্য থাকিলে নিশান を