পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 0 বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ । গোদানও করাষ্টয়া থাকেন। একটু গোবর হাতে দিয়া প্ৰয়াগ ঘাটের উপর সংস্কৃত মন্ত্র পড়াইয়া যজমানের অতর্কিতে গোদানের সংকল্প করাইয়া ফেলেন, তারপর তন্মলা আদায় করেন। আমাদের হাতে গোবর দিবা মাত্ৰই ব্যাপার বুঝিয়া উহা ছুড়িয়া ফেলিয়া দেই। : ১০, ১॥০ মূল্যের গো-দান করিয়া জানিয়া শুনিয়া পুণ্যের পরিবর্তে অন্য কিছু উপাৰ্জন করিতে উৎসুক হই নাই । ঘাটের উপরেই অনেকটা সিড়ি বাতিয়া রামচন্দ্ৰঞ্জীর মন্দিরে যাইতে হয় । মন্দির খুব উচ্চ ও বহুদিনের প্রাচীন বোধ হইল । রামচন্দ্ৰ সীতা ও লক্ষ্মণের মুষ্টি আছে । নিকটে অন্যান্য দেবতার ও মন্দির আছে । দেবপ্রয়াগে আমাদের নাম ধামান্দি পাণ্ডার খাতায় লিখিত হইলবদরীনাথের কাজ এখানেই সারিয়া ফেলা হইল ; অথচ বন্দরী এখান হইতে বরাবর গেলে ও ১, ১৩ মাইল । ৬ষ্ঠ দিন রবিবার ১লা জ্যৈষ্ঠ বিলম্বকেদার । আমরা সেইদিন দেবপ্রয়াগেই রাত্রিযাপন করিয়া পরদিন বন্দরীর পথ ধরিলাম। কেহ কেহ এখান তইতে তিহরি রাজধানীর অভিমুখে গঙ্গোত্তরী যমুনোত্তর দর্শনার্থ রওনা কিইল-উহারা সমগ্ৰ কেদারখণ্ড প্ৰদক্ষিণ করিবে । আমরা এখন অলকানন্দার কিনারা দিয়া যাইতে লাগিলাম । পাচ মাইল গিয়া রাণীবাগ নামক চটিতে অলকানন্দায় স্নান করিয়া কিঞ্চিৎ