পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RR বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ । ৭ম দিন সোমবার, ১ারা জ্যৈষ্ঠ শ্ৰীনগর । প্ৰাতঃকালে বিন্বকেদার ছাড়িয়া তিন মাইল আসিয়া কমলেশ্বরের মন্দির পাইলাম। সেই স্থানে মহাদেব, গণেশ প্ৰভৃতি দর্শনান্তর আর ও মাইল খানিক চলিয়া বেলা ৮টায় শ্ৰীনগর সহরে পৌছিলাম ! শ্ৰীনগর একদিন খুব সমুদ্ধিসম্পন্ন ছিল—-সম্প্রতি নানা কারণে শ্ৰীহীন হইয়া পড়িয়াছে। স্থানটিতে অনেকটা জমি সমতল। ইহা পূৰ্ব্বে গাড়োয়াল রাজ্যের রাজধানী ছিল। এই অংশ কালক্রমে ব্রিটিশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ও ইহাই প্ৰধান নগর ছিল । এক্ষণে ব্রিটিশ হেডকোয়াটার এই স্থান হইতে ৮মাইল দূরবর্তী পোড়ীতে হইয়াছে । শ্ৰীনগরে অনেকানেক পাকা মন্দির ছিল । কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভূকম্প যেমন এই আসাম অঞ্চলের অনেক জায়গায় সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে, সেইরূপ ১৮৯৪ সালের আগষ্ট মাসের এক দৈবী ঘটনা গাড়োয়ালের অনেক স্থানের, বিশেষতঃ শ্ৰীনগরের, ধংস সাধন করিয়াছে। শ্ৰীনগর হইতে প্ৰায় ৫০ মাইল উপরে বিরহি-গঙ্গা নামে অলকানন্দার একটি উপনদীর সঙ্গন-স্থান । ঐ সঙ্গমের ৫।৬ মাইল:উজানে একটা পাহাড় ধবসিয়া পড়ায় ১৮৯৩ সালের অক্টোবর মাসে নদীর জলস্রোতঃ অবরুদ্ধ হয় । ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট একটা নালা কাটিয়া জলস্রোতঃ ক্ৰমশঃ নিঃসারিত করা যায় কিনা, তজ্জন্য বহুকাল চেষ্টা করিয়াছিলেন-কেন না। অবরোধ স্থানে প্ৰচণ্ড জলরাশি স্ফীত হইয়া জমিয়াছিল, উচ্চার চাপে সহসা পৰ্ব্বত গাত্র ভেদ হইলে বিরহি গঙ্গা ও ভাগীরথীর তীরবত্তী স্থানের লোকদের বিষম ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল । গবৰ্ণমেণ্ট সেই নিমিত্ত নোটিস দিয়া অধিবাসী দিগকে নদীর তীর হইতে