পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

IRN বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ । খেলাইবার একটা জায়গা বলিয়া বোধ হইয়াছিল। এই স্থানে অগস্ত্যমুনির আশ্রম ছিল বলিয়া প্ৰবাদ । ইহাতে বেশ সুন্দর দোকান ও অবস্থানের জায়গা ছিল। কিন্তু আমরা আরও কিছুদূর অগ্রসর হইব, মনে করিয়া তাড়াতাড়ি এখানকার কােজ সারিয়া চলিয়া গেলাম। এখানে এক মন্দিরের মধ্যে মুনিবারের বিশাল মূৰ্ত্তি স্থাপিত—আবার অস্ত্ৰ শস্ত্রও আছে। এখানে এ তপস্বীকে কি জন্য অস্ত্র ধারণ করিতে হইল, বুঝিলাম না । এই আশ্রম বোধ হয় অগস্ত্যের প্রথমাবস্থায় বা সাধন সময়ের-নচেৎ তাহার আশ্রম বিন্ধীগিরির দক্ষিণবৰ্ত্তী বলিয়াই প্ৰসিদ্ধ। এখানে একটি পোষ্ট আফিস আছে । অগস্তামনি হইতে সোরী চটি ১ মাইল ; তাৎপরে চন্দ্ৰাপুরীচটি ১ মাইল ; এইখানে মধ্যাক্তকতা করা গেল। এই চটিতে আসিবার পূৰ্ব্বে সামান্য একটা ঝরণার ফ্যায় নদী দুই খণ্ড কাষ্ঠের উপর দিয়া পার তহঁয়াছিলাম । এই বাবদ খেয়ার পয়সা দিতে হইয়াছিল। এই পৰ্ব্বতে আর কুত্ৰাপি খেয়ার পয়সা দেই নাই । পয়সার জন্য পাট্র্যাদার ভারি পাড়াপীড়ি করে দেখিলাম। এবং লোকের কাছ হইতে অন্যায়ারূপে বেশী পয়সা আদায় করা হইতেছে, বলিয়া বিবেচনা হইল। তাই পাট্রাদাবের সঙ্গে বেশ একটু তৰ্ক-বিতর্কও হইল। গবৰ্ণমেণ্ট এখানে অনায়াসে পুল করিয়া দিতে পারেন । আশা করা যায়, সত্বরই এই অতর্কিত অসুবিধা फ्रैंकू छून थ्टेटदक। চন্দ্ৰাপুরী চটিতে ২১টি দেবমন্দিরও আছে । আমরা এই চটি ছাড়িয়া সায়াহ্নে বিরি চটিতে ( ৪ মাইল ) গিয়া রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করিলাম । এই স্থানে অলকানন্দার উপরে একটী লোহার সেতু আছে। দুপারেই দোকান আছে । দোকানে অনেক জিনিষ পা শুয়া যায় ।