পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । 8S কাণ্ডি চড়া এক বিড়ম্বনা । খাসিয়াদের থাবায় যেমন উপাধানে মাথাটি রাখিয়া পাদানিতে পা দিয়া সুখে শুইয়া থাকা যায় -এখানে সেরূপ নয় । কাণ্ডির উপরের সীমা গ্রীবার নীচে থাকে, পা-ও কুঞ্চিত করিয়া পাদানিতে পা দিতে হয় । কখনও বা পা ঝুলাইয়াই রাখিতে ভয় } আরোহীকে কখন কখন কাণ্ডির সঙ্গে রাজ্জ, দ্বারা দৃঢ়বদ্ধ হইতে হয়— নচেৎ চড়াই উঠিতে পড়িয়া যাওয়ার সম্ভাবনা । আমি যদি ও বাধা পড়ি নাইট তথাপি ঘাড় ঠোঁট করিয়া পা দুখানি এক প্রকার শূন্যে গুটিাইয়া কািন্তক্ষণ বসা যায় ? ফলতঃ পায়ে হাটিয়া পথ চলা কাণ্ডি চড়া অপেক্ষা শতগুণে আরামদায়ক । ঝাপানে ও একবার উঠিয়! মজা দেখিবার ইচ্ছা ছিল ; কিন্তু তাহ পারি নাই । তবে ইহা মুক্ত কণ্ঠে বলিতে পারা যায় যে, চারিদিক যথেচ্ছ দেখিয়া শুনিয়া স্বাধীনভাবে চলা বসায় যে একটা স্মৃষ্টি আছে-ঝাপান বা কাণ্ডি আরোহীীর সেটা তইবার যো নাই । “সৰ্ব্বং পরবশিং দুঃখম সৰ্ব্বমাত্মবশং সুখং ” জীৰ্ণ পীড়িত বা বিকলের কথা স্বতন্ত্র। রামপুর এগারটার সময় পৌছিলাম। সে স্থানে ডাক্তার বাবু সাগে। পথা দিলেন। অনেক পুধ নিগত হওয়ায় পায়ে আরাম বোপ তইল । শ্ৰীনগর হইতে রোপ সোল কানভাসের জুতা কিনিয়া আনিয়াছিলাম।-- - তাহ পায়ে দিয়া প্ৰায় তিনটার সময় রামপুর চটি হইতে পদব্রজে রোওয়ন হইলাম। সেখান হইতে ৬ মাইল ফাটা চটিতে গিয়া রাত্রি যাপনাথ একটা দোতলায় আশ্রয় গ্ৰহণ করিলাম । রাত্ৰিতে দুধ রুটি পথ্য পাই . লাম-শরীর বেশ ছিল ।