পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অথবা উঠিয়া আসিতে যে সময় লাগিবে, ততক্ষণ আমি কালীঘাট পৌছতে পারিব। এই মনে করিয়া পথ চলিতে লাগিলাম। কিছু দূর যাইতে না যাইতেই সেই ক্ষুদ্র মেঘখণ্ড বিস্তৃতায়তন হইয়া আকাশ ছাইয়া ফেলিল। ট্রামপথ অনেক দূরে ফেলিয়া আসিয়াছি। আমি দ্রুতপদে চলিতে লাগিলাম। দেখিতে দেখিতে বৃষ্টি নামিয়া আসিল। আমি অনন্যেপায় হইয়া পথিপার্থে আশ্রয় গ্রহণের জন্য ব্যস্ত হইলাম ;-চাহিয়া দেখিলাম রাস্তার বাম পার্শ্বে একখানি কাঠকয়লার দোকান রহিয়াছে। আমি তাড়াতাড়ি সেই দোকানের বারান্দায় আশ্রয় গ্ৰহণ করিলাম। দোকানে তখন কোন ক্রেতা উপস্থিত ছিল না। দোকানদার ঝাপ বঁাধিবার চেষ্টা করিতেছিল। 's আমাকে দেখিয়া সেই দোকানদার বলিল, “মহাশয়, বারান্দায় জলের ঝাপটা লাগছে; আপনি ভিতরে এসে বসুন।” এই বলিয়া সে একটা কেরোসিনের ব্যাকস অগ্রসর করিয়া দিল। আমি বলিলাম “না থাক, আমি বেশ আছি, এখনই জল ছেড়ে যাবে।” দোকানদার বলিল “মেঘের যে রকম গতিক, ত’তে এখনই জল ছাড়বে না । আপনি ভিতরে এসেই বসুন। বাহিরে কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবেন । তামাক খান কি ?” “না তামাক খাই না, চুরুট খাই—তা” আমার সঙ্গেই আছে।”-- এই বলিয়া আমি সেই কেরোসিনের বাক্সের উপর বসিয়া একটী চুরুট ধরাইলাম। বৃষ্টির বেগ ক্রমেই বাড়িতে লাগিল। দোকানঘরখানি নিতান্ত হোণ্ট নহে। চাহিয়া দেখিলাম ঘরখানি দুই ভাগে বিভক্ত-সম্মুখভাগে দোকান, পশ্চাদ্ভাগে বোধ হয় দোকানদারের থাকিবার স্থান। দোকানের এক পার্থে একখানি নাতিবৃহৎ চৌকি-তাহার উপর একটি মাদুর বিছান রহিয়াছে। সেই মাদুরের এক পার্থে একটি কাঠের হাত-বাকুস এবং সেই বাক্সের পার্থেই ৩৪ খানি GQ