পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারা যান। আমি সারাদিন এই লোকারণ্যের মধ্যে বেড়াইয়া, সন্ধ্যার সময় আপনার ওখানে যাইব ।” আমার আগ্ৰহাতিশয্যা দেখিয়া বৃদ্ধ বলিলেন। “বিলম্ব করিও না, সন্ধ্যার মধ্যেই যাইও । কালই আমরা চলিয়া যাইব, । AqSLB DBD BB ES SBDD DDD DD DBBD sBBDDH BDBBD র্তাহারা চলিয়া গেলেন ; আমি তখন সেই জনসমুদ্রে ডুবিয়া গেলাম আমাকে যেন সে দিন ভূতে পাইয়া বসিল । সাধুসন্ন্যাসীদিগের সহিত দেখাশুনা করিব,-এ দিক ওদিক বেড়াইব;-কিন্তু আমার তাহা হইল না। আমার মনের মধ্যে কেমন করিয়া এই কথাটা প্ৰবেশলাভ করিল যে, লছমনপ্ৰসাদকে আজ এই লোকারণ্যের মধ্য হইতে খুজিয়া বাহির । করিতে হইবে। স্নান করিতে আসিবায় সময় লছমনপ্ৰসাদের স্ত্রীর সেই মোন, কাতর প্রার্থনা,-সেই মলিন মুখ আমাকে অভিভূত করিয়া ফেলিয়াছিল। আমি পথে চলিবার সময় অনেকবার তাহার দিকে তাকাইয়াছিলাম ; একবার তাঁহার দৃষ্টি আমার উপরও পড়লুছিল ;–সেই দৃষ্টির মধ্যে কি ব্যাকুলতা, কি প্ৰাণের বেদনা ! আমি যেন তাহা হইতেই বেশ । বুঝিতে পারিলাম যে, লছমনপ্ৰসাদকে-তঁাহার জীবন-সৰ্ব্বস্বকে, তাহার | হারাণে রত্নকে-খুজিয়া বাহির করিবার ভার, তিনি সেই এক কাতর। " দৃষ্টিতেই আমার উপর সমর্পণ করিলেন!! আমি সেই সময় মনে মনে প্ৰতিজ্ঞ করিয়াছিলাম, আজ সারাদিন, এই হরিদ্ধারে জনসমুদ্র মন্থন করিয়া যুবতীর সেই রত্বের অনুসন্ধান করিব -এবার এই মেলায় ইহাই । আমার একমাত্ৰ কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য হইল। আমারই মত তাহার চেহারা ; সুতরাং যদি তাহার সঙ্গে দেখা হয়, তাহা হইলে আমি তাহাকে চিনিতে পারিব। বৃদ্ধ যখন সকলকে লইয়া চলিয়া যান, তখন যুবতী আমার দিকে একবার চাহিয়াছিলেন ;- সে কাতরতাপূর্ণ দৃষ্টি,-সে আকুল প্রার্থনা আমার হৃদয়কে মোহাবিষ্ট করিয়াছিল। 《འ་ 8G