পাতা:পরাণ-মন্ডল ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতে কন্যার ভাব সমর্পণ করিয়া ইহলোকের কাজ শেষ করিল। মেয়ের বিবাহের জন্যই বোধ হয় তাহারা স্বামীস্ট্রীতে এতদিন বঁাচিয়া ছিল। বিবাহের একমাস পরেই মনিরন্দী ও তাহার স্ত্রী বোধ হয় পরামর্শ করিয়া একদিনেই দশঘণ্টা আগে পাছে এই দুনিয়ার কাজে ইস্তফা দিয়া চলিয়া গেল । এত বড় যোয়ান, এমন পাকা সর্দার । কিন্তু এই এক মাসের মধ্যেই নবপরিণীতা যুবতী পত্নীর উপর তাহার একটা নেশা জন্মিয়াছিল! সাধুর আপনার বলিতে কেহ ছিল না। যখন এতকাল পরে সে বিবাহ করিল, তখন সে মনে ভাবিয়াছিল, বীে তার বাপমায়ের কাছে থাকিবে; সে নিশ্চিন্তমনে বাবুর বাড়ী সর্দাৱী করিবে, আর যখন তখন এই সামান্য দশক্রোশ পথ দেখিতে দেখিতে পার হইয়া স্বরূপগঞ্জে আসিবে । কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় তার উলটা। সাধুর এ সংসারে লাঠিখানা ছাড়া আর কিছু ছিল না ; বেশ দাঙ্গা হাঙ্গামা করিয়া মনের স্মৃৰ্ত্তিতে তাহার দিন কাটিয়া যাইতেছিল। শেষে চল্লিশ বৎসর বয়সের সময় বিবাহের খেয়াল তাহার মাথায় চাপিল। বিবাহ করিবার একমাস পরেই একটি সুন্দরী যুবতী পত্নীর সম্পূর্ণ ভার তাহার মাথায় পড়িল। সর্দার তখন মহা গোলে পড়িল । তাহার মনিব ধলিলেন, “সাধু, স্বরূপগঞ্জের বাড়ীঘর জমাজমি বেচিয়া এখানে বাড়ী কর ; আমরা জমি দিচ্ছি, ঘর তুলবার খরচ দিচ্ছি।” সাধু তাহার স্ত্রীকে পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিল ; সাধুপত্নী এ সাধু প্ৰস্তাবে সম্মত হইল না ; সে বলিল, “ও ব্যবসা ছেড়ে দেও ; দাঙ্গা ফেসাদ ক’রে কবে গারদে যাবে, তখন আমার কি হবে ? তার চাইতে এখানে চ’লে এস। বাবা যে জমিজমা রেখে গেছেন, তাই চাষ its し* >