দাম ছিল বেশি । আমার দভাগ্যের কথা ভেবে তিমি যদি মন খারাপ কর তাতেই আমি বেশি দঃখ পাব । বল, ও-কথা,আর ভাববে না ? এ একটা খবর বটে ! বকুলের চেয়ে সতীশের কাছে তার দেহের দাম ছিল বেশি । তবে তো বকুলের হদয় মন জয় করার কাজ আরও সহজ হয়ে গেল ! তার এই সত্বীকারোক্তি, যার অন্তনিহিত অর্থ দাঁড়ায় যে, সে তার স্বামীকে তেমন ভাবে ভালবাসতে পারেনি, কারণ তার চেয়ে তার দেহের দাম তার সবামীর কাছে বেশি। ছিল, এই স্বীকারোক্তি বকুল উচ্চারণ করতে চেয়েছে তার কথা ভেবে, সে যে দঃখ পায় সেই দঃখের হাত থেকে তাকে বাঁচাতে ; কত বড় একটা ভালবাসাই না তার দভাগ্যের জন্য বেদনা সঞ্চারিত করে তলেছে, এই ভেবে সে নারী হয়েও একথা উচ্চারণ করতে সাহস করল । তার মনে হচ্ছে এত বড় ভালবাসার, এতখানি স্নেহের মযদি সে না রেখেই পারে না । তাই যে গোপন কথা নারীর অন্তরের অন্তরতম প্রদেশে চিরদিন গোপন হয়েই থাকে, সেই কথাও সে তাকে স্বচ্ছন্দে জানিয়ে দিল । ঃ কিন্তু, বকুলবকুল বাধা দিয়ে বলে, আর কিন্ত নয় বিনয়দা । এ-বিষয়ে আর একটি কথা তুমি ভাবতেও পারবে না, বলতেও পারবে না । তোমার সঙ্গে তাহলে আমি আড়ি করে দেব । সেই ছেলেবেলা যেমন আড়ি করতাম, মনে নেই ? এর পরে তাদের কথা বেশ সহজ হয়ে আসে। খানিক পরে বকুল চলে যায়, যাবার সময় বলে যায়, তোমার কাছে আর আসব না বিনয়ন্দা, তমি ভারী দাঙ্গু হয়ে উঠেছা! কথাটার অনেক রকম মানে হয় । সে যে কি ভেবে কথাটা বলে গেল বঝে ধিনায় খশি হয়ে ওঠে। পরদিন সকালেই বকুল এসে হাজির । বিনয় ছোট ভাই অভয়কে একটা পড়া ব্যঝিয়ে দিচ্ছিল। ঃ ইস! বিনয়দার যে আবার মাস্টারিও করা হয় ? ঃ সেটা কি আজকে জানলে নাকি ? কত পড়া বলিয়ে নিতে, সব ভুলে গেছ ; কৃতজ্ঞতা বটে ! ঃ থাক, আর বলো না। একটু পড়া বলে দিয়ে কত কাজ করিয়ে নিতে, ভুলে গেছ ? কৃতজ্ঞতা বটে ! সহজ সরল নিঃসঙ্কোচ ব্যবহার। জড়তার চিহ্নটুক ও নেই। এমনিভাবে দিন সাতেক কেটে যায় । তারপর একদিন বিনয় আর এক পা এগোয় । সকালবেলা একটা বই হাতে করে বাকল ঘরে ঢাকতেই বলে, আমি আর আমার কাছে এসো না বকল । বকল হেসে বলে, কেন বলনে তো মশাই ? কি অপরাধ করলাম হজারের दा6छ ? বিনয় গম্ভীর হয়ে বলে, না, সত্যি বাকল, কয়েকজন বন্ধ, ভারী জালাতে শর RS
