পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতা আমল দেয়নি । দ’জনে একসাথে কাটায় ঘণ্টা পাঁচেক । ছাড়াছাড়ি হবার সময়, নিজের বাড়ির সদর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কান্তা সোজাসাজি বলে, তমি কি সত্যি আমায় চাও? ঃ চাই । ঃ বেশ । এসো আমরা মিলেমিশে পরামর্শ করে ব্যবস্থা করি ; আমি কিন্ত ঘোমটা টেনে কিনে বৌ সেজে থাকতে পারব না, তোমার সংসারের হাঁড় ঠেলতে পারব না । ঃ সংসারের খাঁড়ি-ঠেলা ওরকম লাজক পতলে মেযে বিয়ে করার সাধ্য আছে আমার ? যারা আছে, তাদের পষতে পারছি না বাপ-ব্যাটায় মিলে-~ আরেকটা দায় ঘাড়ে চাপাব ? তমি রোজগার করছ, তোমার দায় বইতে হবে না ঃ এই সব হিসেব করে আমায় বিয়ে করতে চাইছ ? ঃ হ্যাঁ, এই সব হিসেব করেই তোমায় বিয়ে করতে চাইছি। দয়া করে যদি তমি রাজী হও ! দ’জনে আমরা কাজের মানীয। কাজ বাদ দিয়ে মাখ শোকাশকি করার প্রেম কি আমাদের পোষায় ? ঃ পোষায় না ? ঃ না । প্রেমের ব্যবসা যারা করে আমরা তাদের খন্দের হতে চাই না শেষ পযন্ত প্রেম থেকে শার করে জীবনের সাধারণ সখে-দঃখ সব হারাতে হয়। তোমার আমার হৃদয়মন বেচে ওরা টাকা করবে।--নাঃ, এ নিয়ম মানা যায় না । ঃ বঝেছি । তোমার বড় বেশি বড় বড় কথা বলার ঝোঁক । তা, তমি কি চাও যে টোপর পরে সং সেজে বন্ধ-বান্ধব নিয়ে মিছিল করে আসবে, আমি বেনারসী জরিতে জড়সড় হয়ে বলির ছাগীর মত থর থর করে কাপকে কাঁপতে তৈরী থাকিব ? না, দ’জনে মিলে রেজিসট্র্যাপ্লের অফিসে গিয়ে দলিল সই করে কােজ সারব ? ঃ যা তোমার ইচছা । আমার কোনটাতেই আপত্তি নেই । কান্তা এবার প্রায় হফমের সময়ে বলে, না, সংক্ষেপে দালাল সই করে কাজ সেরে দািয়কার নেই, সবাইকে ডেকে আমোদ-আহাদ হৈ-চৈ-এর ব্যবস্থা কর। অনিল শািন্ধ হাসে । মনে হয়। সে বঝি শান্ত হয়েই আছে, ভিতরে আনন্দ বা আবেগ-উত্তেজনার কোন ऊलनई ऐले न् ि। কিন্ত তার মািখ দেখেই কান্তা টের পায় উল্লাসের তার সীমা নেই। তবে আনন্দের অনািভতিটা তার এমন গভীর হয়েছে যে উত্তেজনার রূপ নিয়ে বাইরে প্রকাশ

  • ाr5छ क्रा ।

তার হাদয় মন অভিভত হয়ে গেছে { একটু আশ্চষই হয়ে যায় কান্তা। ঘনিষ্ঠতা তাদের বহুদিনের, বন্ধত্ব নিবিড়। সে ኴዖO