পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতার মত স্নেহ করে, উমার হৃদয় জয় করে, সে ব্যাপারটা জািনবার বক্সবার চেষ্টা *瓯夺á团目 কিন্তুকি বিশ্ৰী রকম বাঁকা আত্মীয়-স্বজন বন্ধ-বান্ধব অফিসের চাকুরে-বাকুরেদের মন! মখে যাই বলক, যতই তেজ দেখাক, চন্দ্রনাথ স্নেহের সম্পক তলে দেয়। উমার সঙ্গে। পনের দিনের মধ্যে দরে সরে গিয়ে নিজেকে শািন্ধ অফিসের কাজ-আদায়কারী নিমমি নিবিীকার মানিবে পরিণত করে ফেলে। এত সহজে এত অলপ সময়ে এটা অবশ্য সে সম্পভব করতে পারত না-উমা, যদি সবন্তিঃকরণে সহায়তা না করত । যদি সে তার মাখের কথার বাহাদরীরজের, স্নেহ-মমতার শব্দ্ধ পবিত্র সম্পক নিভয়ে চালিয়ে যাবার হািকমের জের টেনে চলার জিদ ধরত ! প্রক্রিয়াটা আসলে শার করেছিল। উমাই । চন্দ্রনাথ হািকম দিয়ে না। ডাকলে কাছে যাবে না, তার কামরাতেও নয়, তার বাড়িতেও क: । মনিব চন্দ্রনাথ তাদের বাড়িতে এলে ভদ্রতা রক্ষা বা মানবের মন রক্ষার খাতিরেও সে চন্দ্রনাথের বাড়িতে পদাপণ কররে না । চন্দ্ৰনাথ দ’বার এসেছে তাদের বাড়িতে। অন্য সকলে ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে তাকে বসতে দিয়েছে, আদর-অভ্যর্থনা জানিয়েছে, নিজে সোজােসজি না ডাকা পযািম্পত উমা তার সামনে আসে নি। 'চন্দরবাব এসেছেন।” -খবরটা বাড়ির পাঁচজন পাঁচ সাত বার তাকে জানানো সত্তেৰও ! 'চন্দর তোকে ডাকছে উমা’--হরিপ্রসন্ন এসে এ সংবাদ দেবার পর তবে সে তার সামনে গিয়েছে। মেয়েদের চলতি কৈফিয়তের ছতো তলে বলেছে, কতক্ষণ এসেছেন ? শরীরটা বড় খারাপ হয়েছে । ? শরীর খারাপ ? তবে আজ আর অফিস যেও না! আজ তোমার ছটি । না না, সেরকম শরীর খারাপ নয়। দাঁচার ঘণ্টার ব্যাপার । মাথা ধরেছে । স্নান করে খেতে খেতেই ঠিক হয়ে যাবে। মিছিমিছি। কামাই করব কেন ? উমা সপষ্টই অন্যভব করেছে তার সবাত্মক উপেক্ষায় পরম সাবস্তি বোধ করেছে চন্দ্রনাথ । মখের কথায় বড়াই-এর দায় থেকে সে যে স্বেচছাত্র তাকে রেহাই দিয়েছে । এজন্য চন্দ্রনাথ সত্যসত্যই বিষম একটা বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ায় আরাম বোধ করেছে । না, উমা তার বাড়তি স্নেহ-মমতার সম্পপক দায়ী করে না । সে শােধ কঠোর নিষ্ঠার সঙ্গে তার অফিসে চাকরির দায়টা পালন করে যেতে চায়। সে কাজ করবে । কাজ দেখিয়ে উন্নতি করবে। চাকরি দিয়েছে বলেই ফালত ফেভার সে মানবে না। দিসপ্তাহেই ধাতস্থ হয়ে গেছে চন্দ্রনাথ । }ታሏ፡