পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীত আমার ললিতা মেয়েটাকে যদি সঙ্গে আনতুম, তা হ’লে যা হয় একটা উপায় আমাকেই ক’রে দিতে হতো-দিতামও। আমি তা জানিনে, গুরুচরণ এইসব মতলব ক’রেই পাঠিয়ে দিলে না। আমি মনে করেছিলুম, বুঝি সত্যি তার বিয়ের সম্বন্ধ হচ্চে। শেখর মায়ের মুখের দিকে চাহিয়া একটুখানি লজ্জিতভাবে বলিল, বেশ ত মা, এখন বাড়ী গিয়ে তাই করে না কেন । সে ত আর ব্ৰাহ্ম হয়নি-তার মামাই হয়েছে- আর তিনিও কিছু তার যথার্থ আপনার কেউ নন। ললিতার কেউ নেই বলেই তঁর ঘরে | মানুষ হচে । ভুবনেশ্বরী ভাবিয়া বলিলেন, তা বটে, কিন্তু কৰ্ত্তা এক রকমের মানুষ, তিনি কিছুতেই রাজী হবেন না। হয়ত তাদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ পৰ্য্যন্ত করতে দেবেন না । শেখরের নিজের মনেও এই আশঙ্কা যথেষ্ট ছিল, সে আর কিছু না বলিয়া চলিয়া গেল । ইহার পরে আর এক মিনিটও তাহার বিদেশে থাকিতে ইচ্ছা! রহিল না। দু-তিন দিন চিন্তিত অপ্ৰসন্নমুখে এদিকে ওদিকে ঘুরিয়া বেড়াইয়া, একুদিন সন্ধ্যার সময় আসিয়া বলিল, আর ভাল লাগচে না भl, फ्रल दर्जुी शाझे । ভুবনেশ্বরী তৎক্ষণাৎ সম্মত হইয়া বলিলেন, তাই চল শেখর, अभिांद्रe किछू उॉल लiश5 ना । বাড়ী আসিয়া মাতাপুত্র উভয়েই দেখিলেন, ছাদের সেই য়াতের পথটা বন্ধ করিয়া প্ৰাচীর উঠিয়াছে। গুরুচরণের সহিত র কোনরূপ সম্পর্ক রাখা, এমন কি, মুখের আলাপ রাখাও যে |ার অভিপ্রেত নয়, তাহা কাহাকেও না জিজ্ঞাসা করিয়াই উভয়ে