পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t পরিণীত। এই গলিটায় দু’খানা গাড়ীর স্বচ্ছন্দে যাতায়াতের স্থান হয় না। একখানা গাড়ী খুব একপাশে ঘোঁসিয়া না দাড়াইলে আর একটা যাইতে পারে না। দিন-দশেক পরে শেখরের আফিস-গাড়ী গুরুচরণের বাটীর সম্মুখে বাধা পাইয়া স্থির হইল। শেখর আফিস হইতে ফিরিতেছিল, নামিয়া আসিয়া জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল, ডাক্তার ङग्नि८छ्न्न । সে কিছুদিন পূর্বে মায়ের কাছে শুনিয়াছিল, গুরুচরণের শরীর ভাল নাই। তাই মনে করিয়া আর বাড়ী গেল না, সোজা গুরুচরণের শোবার ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাই বটে, গুরুচরণ নিজীবের মত বিছানায় পড়িয়া আছেন, একপাশে ললিতা এবং গিরীন শুল্কমুখে বসিয়া আছে, সুমুখে চৌকীর উপর বসিয়া ডাক্তার রোগ পরীক্ষা করিতেছেন । গুরুচরণ অফুট-স্বরে বসিতে বলিলেন, ললিতা মাথার আঁচলটি আরো একটু টানিয়া দিয়া মুখ ফিরাইয়া বসিল। ডাক্তার পাড়ার লোক, শেখরকে চিনিতেন। রোগ পরীক্ষা করিয়া ঔষধ ব্যবস্থা করিয়া, তাহাকে সঙ্গে লইয়া বাহিরে আসিয়া বসিলেন। গিরীন পিছনে আসিয়া টাকা দিয়া ডাক্তার বিদায় করিবার সময়, তিনি বিশেষ করিয়া তাহাকে সতর্ক কৱিষ্ম দিলেন যে, রোগ এখনও অধিকদূর অগ্রসর হয় নাই, এই সময় বায়ু-পরিবর্তনের নিতান্ত ङ) ॥ . . ডাক্তার চলিয়া গেলে, উভয়েই আর একবার গুরুচরণের ঘরে আসিয়া দাড়াইল । ললিতা ইসারা করিয়া গিরীনকে একপাশে ডাকিয়া লইয়া গিয়া চুপি চুপি কথা কহিতে লাগিল। শেখর সুমুখের চৌকীতে বসিয়া স্তব্ধ হইয়া গুরুচরণের দিকে চাহিয়া রহিল। তিনি ইতিপূর্বে ওদিকে