ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার। × თ% গ্রামের মধ্যে একঘর জমীদার বাস করিতেন, তাহার বাড়ীতে হয়ত একসহস্র টাকা মূল্যের এক জোড় ও পাচ শত টাকা মূল্যের এক যোড়া, এই দুই জোড়া কাশ্মিরী শাল ছিল, অন্য সাধারণ কাহারও ঘরে খুজিলে শাল পাওয়া যাইত না ; অতএব সে গ্রামের মধ্যে মূল্যগণনাতে দেড় সহস্র টাকার শাল ছিল । কিন্তু এক্ষণে সেই গ্রামে হয়ত সেরূপ মূল্যের শাল একখানিও নাই, কিন্তু গড় হিসাবে দুই শত গৃহে পঞ্চাশ টাকা মূল্যের দুই শতখানি শাল আছে, অর্থাৎ সেই গ্রামে দশসহস্র টাকা মূল্যের শাল রহিয়াছে। সেকালে দেড়সহস্র টাকার শাল থাকাতেই গ্রামে বড় মানুষ আছে বলিয়া একটা খ্যাতি ছিল, এক্ষণে দশসহস্র টাকার শাল গ্রামের মধ্যে থাকিলেও উহা সাধারণ গৃহস্থের বা গরীবের গ্রাম বলিয়া পরিচিত। তখন এক জায়গায় দেড় সহস্র টাকার শাল ছিল, অর্থাৎ অল্প স্থানে মূল্যের গভীরতা ছিল এই জন্য তাহার আধিক্য বর্ণিত হইয়াছে, কিন্তু এক্ষণে তাহা অপেক্ষ বহুগুণ পরিমাণে অধিক টাকার সামগ্ৰী থাকিলেও বিশালতায় অধিক ও গভীরতায় অল্প বলিয়া সেরূপ গৌরব হইল না। তদ্রুপ যুগের মধ্যে যদি দুই জন লোকও তপঃসিদ্ধির উচ্চ সীমায় আরোহণ করিতে পারেন, তবে তাহাদিগের যশঃ ও তাহাদিগের গৌরব চিরকাল বিঘোষিত হইয়া থাকে। কিন্তু অসিদ্ধ অবস্থায় যদি কোটী কোটী লোক কোলাহল করিয়া মরিয়া যায়, তবে তাহদিগের জন্ম মরণের সমাচার পর্য্যন্তও হয়ত কাহারও কর্ণগোচর হয় না। সত্যযুগে জ্ঞানবল, তপোবল, যোগবল
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১১২
অবয়ব