পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের আর্য্যভাব। ১২৭ "ধৰ্ম্মং যে বধিতে ধৰ্ম্মো ন স ধৰ্ম্ম: বুধৰ্ম্ম তৎ। অবিরোধী তু ষো ধৰ্ম্ম: স ধৰ্ম্মঃ (সত্যবিক্রম ) ॥” যে ধৰ্ম্ম অন্য ধৰ্ম্মের বিরোধী, তাহা কখনই প্রকৃত ধৰ্ম্ম নহে, উহা কুধৰ্ম্ম বলিয়া আখ্যাত হইয়া থাকে, অবিরোধী ধৰ্ম্মই যথার্থ ধৰ্ম্ম ; ইহাই বিচার করিয়া যে দিন আমরা ধৰ্ম্মের সরল পথ—সরল গতি—বুঝিতে পারিব, “সৌরাশ্চ শৈবগণেশীঃ বৈষ্ণবী শক্তিপূজকাঃ । মামেব তে প্ৰপদ্যস্তে বর্ষ:স্ত; সাগরং যথা ॥” যেখানেই যত বৃষ্টি পতিত হয়, সকল, জলই যেমন নানা পয়ঃপ্রণালী দিয়া নানা নদীকে অঁাশ্রয় করিয়া পরিশেষে সাগরে অসিয়াই পতিত হয়, সেইরূপ সোর, শৈব, গণপত্য, বৈষ্ণব, শাক্ত, সকল উপাসক-সম্প্রদায়ই নিজ নিজ পদ্ধতিতে ইষ্টোপাসন সিদ্ধ করিয়া অবশেষে আমাকেই প্ৰাপ্ত হইয় থাকে ; ভগবানের এই মিগুঢ় মৰ্ম্ম-কথ। হৃদয়ে ধরণপূর্বক যে দিন আমরা সৰ্ব্বদেবে ও সৰ্ব্বসম্প্রদায়ে অভেদ বুদ্ধি স্থাপন করিয়া নিৰ্দ্ধন্দ্বচিত্তে ভগবানের সাধন। করিতে শিখিব ; যে দিন আমর। এই কথাই মৰ্ম্ম দ্বারউদঘাটনপূর্বক ভাল করিয়া পুষ্প-দন্তের সিদ্ধস্বরে বলিতে পরিব— “লুণামেকোগন্যস্থমপি পয়সামর্ণব ইব” জলরাশির আশ্রয়স্বরূপ মহাসমুদ্রের ন্যায়, হে নাথ! তুমিই সমস্ত সম্প্রদায়ভুক্ত সাপকবৃন্দের একমাত্র গতি, সেই দিনই বুঝিব আর্ধ্য প্রকৃতির বিমল বিজু খ-প্রবাহ আমাদের শিরায় শিরায় প্রবাহিত হইতেছে ।