পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। כאילצ ১৭৯৯ শকাব্দীর শেষ দিন মহাবিষুব সংক্রাত্তিতে হরিদ্বারের মহাকুম্ভ-মেলায় আমি যখন গমন করিয়াছিলাম, তখন পূজ্যপাদ শ্ৰীমদ্বগুরুস্বামীজী মহারাজের অনুগত এক জন অবধূত মহাত্মার সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছিল । তিনি কথাপ্রসঙ্গচ্ছলে উপদেশ করিয়াছিলেন যে, দেখ, লোকসমাজে একটা উল্টা কথা প্রচলিত আছে, অর্থাৎ লোকে যে বলে, চক্ষু উন্মীলন করিলে দেখা যায়, আর নেত্র নিমীলিত হইলে কিছুই দেখা যায় না, এ কথাটা অতি আসার ও অমুলক। আধরা যখন মাতৃগর্তে চক্ষু মুদ্রিত ধরিয়া উৰ্দ্ধপদে অধোমস্তকে সংস্থিত ছিলাম, তখনু যাহা দেখিতাম, ভূমিষ্ঠ হইয়া চক্ষু উন্মীলনপুৰ্ব্বক তাহ দেখিতে পাই কৈ ? যাহ। দেখিয়াছিলাম, সেই সংস্কারের বশীভুত হইয়। তাহাই দেখিবার জন্য কত দিকে ছুটিয়া বেড়াই, কত দিকে তাকাইয়া দেখ্রি, কিন্তু তাহt.আর দেখিতে পাই কৈ ? এখন বুঝিয়াছি, চক্ষু মেলিয়া থাকিলে দেখা যায় না, নেত্র নিমীলিত করিলেই যাহা দেখিতে চাই, তাহ দেখিতে পাই, অতএব তোমার যদি কিছু দেখিবার ইচ্ছা থাকে, তবে চক্ষু বুজিতে শিক্ষাকর, চক্ষু খুলিয়া থাকিলে কিছু দেখিতে পাইবে না। চক্ষু বন্ধ করিয়া অন্ধ হও, সমস্ত দ্বন্দ্ব মিটিয়া যাইবে, নিদ্বন্দ্ব সচ্চিদানন্দ অনুভব করিতে পারিবে । সভ্য মহোদয়গণ ! অন্ধত দোষ কি গুণ, তাহ নিজ নিজ বুদ্ধি-বিচারে সকলেই অবস্থানুসারে বুঝিয়া লইবেন । চক্ষুষ্মান ও অন্ধ, উভয়ই অবস্থা-বিশেষে সুখী ও স্বচ্ছন্দ, ও উভয়ই অবস্থা-বিশেষে দুঃখী ও দুস্থ। যাহারা চক্ষুস্নান, প্রকৃত চক্ষু যাহাদিগের আছে,