পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৮ পরিত্রাজকের বস্তৃত। প্রদেশ প্রভৃতিতে আপনার স্বগভীর বড় বড় কূপ দেখিয়। থাকিবেন, সেই কূপ হইতে যখন শস্যক্ষেত্রে জল প্রবাহিত করিবার প্রয়োজন হয়, তখন ঐ কূপের তট হইতে ক্ষেত্র পৰ্য্যন্ত একটা পয়ঃপ্রণালী কাটা হুইয়া থাকে । সেই প্রণালী দিয়া কুপোস্থত জলরাশি তর তর বেগে ক্ষেত্রভিমুখে ধাবিত হইতে থাকে । সেই জলরাশি ক্ষেত্রে পতিত হইয়া তথাকার শস্য-রাশির পুষ্টি সাধন করিয়৷ থাকে সত্য ; কিন্তু প্রণালী পথে বহিয়া যাইবার সময় প্রণালীর ধারে’ধারে যে সকল তৃণ আদি থাকে, তাহাদেরও মূলে রস-সঞ্চার না করিয়া জলরাশি ক্ষেত্রে উপস্থিত হয় না। সেইরূপ মধু হইতেও স্বমধুর রস-ভরা এই হরিনাম অন্ধ পথিককে বৃন্দারকবৃন্দ-বন্দিত হরি-পদারবিন্দ-রূপ লক্ষ্য স্থানে লইয়া যাইবার সময় গন্তব্য পবিত্র পথের পাশ্বের্ণ উৎপন্ন কৰ্ম্ম, জ্ঞান, যোগ আদি সাধনারূপ স্থশোভিত তৃণ-রাশির পাদদেশে রস-সিঞ্চন করিতে উপেক্ষা করে না । যেমন পয়ঃপ্রণালী-প্রবাহিত জলের সাহায্যে নবীন নধর ভাবে তৃণগুলি প্রফুল্পিত হইয় উঠে, সেইরূপ নাম-সাধনের শীতল জলের সংস্পর্শে জীবের হৃদয়ে নিষ্কাম ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, বুদ্ধি জ্ঞান, যোগ ও ভক্তি প্রভূতি ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হইতে থাকে । সাধু মহাত্মাগণ ষে সাধন-সিদ্ধির গুণে ত্রিলোকে সম্মানিত হইয়া থাকেন, তাহা সমস্তই নাম-সাধনে স্থলভ হইয়া আইসে। নামের বল অতি প্রবল, নামের দ্বারাই বস্তু-প্রাপ্তি হুইয়া থাকে। বড় বড় লোকের নাম শুনিয়াই দীনদুঃখীগণ র্তাহার বাটীতে