পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । ჯ9ა চারিণী সাজিতে হয়, ইহাও বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নিরূপিত হইয়াছে । ’ বিজ্ঞান-শাস্ত্রের বিশিষ্টরূপ উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান, সমাধি এই অষ্টাঙ্গ যোগের অবতারণা হইয়াছে । এই বিজ্ঞানসিদ্ধ বিশিষ্ট প্রক্রিয়াবলেই মানব চিরায়ু হইতে পারে, দূর দর্শন ও অগোচর জ্ঞানে সমর্থ হইতে পারে ; অন্তধ্যান ও অন্তরীক্ষ-বিচরণ আদির ক্ষমতা এই বিজ্ঞানু-বলেই আর্য্যগণ লাভ করিয়াছিলেন। এই বিজ্ঞান-সিদ্ধির বিশাল বিস্ফরণে আর্য্য মহাযোগিগণ অণিমা, মহিমা, লঘিমা, গরিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ঈশিত্ব, ও বশীত্ব এই অষ্ট-সিদ্ধি লাভ করিয়া ত্রিলোকের তাবৎ শক্তিকে নিজ নিজ পরিচারিকা মধ্যে পরিগণিত করিয়াছিলেন। এই বিজ্ঞানের পুর্ণাৎ পুতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যোগীশ্বরবর্গ পরব্রহ্মের পূর্ণ বিকাশ করামলকবং প্রত্যক্ষ করিয়া, মানব জীবনের, মানব জন্মের সার্থকতা ও সুস্পপুতি লাভ করিয়াছিলেন। এই পুর্ণ জ্ঞান-বিজ্ঞান-তৎপর মহাযশস্বী আৰ্য্যজাতির হৃদয়-যন্ত্রের অলৌকিক গতি কেন স্তস্তিত হইল ! কেন ভারতের প্রফুল্ল মুখে মলিন ছায়। পড়িল! কেন খেলিতে খেলিতে শিশু ভূমিতে ঢলিয়া পড়িল ! কি জানি, কোন বিষে ভারত জর্জরিত হইল । ভারতী-বন্ধু মহোদয়গণ ! বলুন কি রূপে আবার ইহার চেতনা-সঞ্চার হইবে । . সমাজ-গঠন সম্বন্ধে ভারতবর্ষীয় আর্ধ্যজাতির ন্যায় নিৰ্ম্মল চা তুর্থ্য-পূৰ্ণ ব্যবস্থা পৃথিবীর আর কোন জাতিরই নাই। নদীর