(ట్ర পরিব্রাজকের বক্তৃত । সেই !” অর্থাৎ, যে ক্ষত্রিয়-কুলে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়া সমুদ্র-জলের উপর প্রকাও প্রকাও গিরি-শৃঙ্গ ভাসাইয়। সে তু নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন, তুমি সেই ক্ষত্রিয়-কুলে জন্ম গ্রহণ করিয়া অত্যন্ত্র জলে এই সামান্য শিলাখগুটী ভাসাইতে পারিলে না। বস্তুতঃ, আমি যেমন বর্তমান অতপস্ক ব্রাহ্মণকুলকে ধিক্কার দিয়াছিলাম, উনিও তদ্রুপ নিবীৰ্য্য ক্ষত্ৰিয়কুলকে উপহাস সহ ধিক্কার দিয়াছেন। অর্থাৎ, বর্তমান কালে পূৰ্ব্বের ন্যায় ব্রাহ্মণ ও নাই, পূর্বের ন্যায় ক্ষত্রিয়ও নাই। সকলেই বিষ-বিহীন বিষধর । সভ্য মহোদয়গণ ! আপনরাও হয় তো আমার ন্যায় একজন সামান্য ব্যক্তিকে ধৰ্ম্মপ্রচার-ক্ষেত্রে দণ্ডায়মান দেখিয়া মনে মনে বলিবেন, “সেই আর এই!” অর্থাৎ, যে ক্ষেত্রকে সুশোভিত ও পবিত্র করিয়া শুক শৌনকাদি উপদেশ দান করিতেন, যে ক্ষেত্রকে উজ্জ্বল করিয়া ব্যাস বসিষ্ঠাদি শিক্ষা-সুধা-বৃষ্টি করিতেন, যে ক্ষেত্নকে গৌরব-যুক্ত করিয়া জনক যাজ্ঞবল্ক্যাদি জ্ঞানামৃত বিতরণ করিতেন, আজ সেই স্থানে দণ্ডায়মান একজন সামান্য নগণ্য পুরুষ । আপনার তাহাদিগের শাস্ত্রোক্ত কথামৃত-রাশি পান করিয়াছেন, আর এই নগণ্য ব্যক্তির মলিন মস্তিষ্কের ক্ষুদ্রচিন্তা-প্রস্থত সামান্য কথা শুনিয়া হয় তো বলিবেন, “সেই আর এই!” পূজ্যপাদ শ্ৰীমচ্ছঙ্করাচার্য্যের দিগ্বিজয়-বাণী আকনন করিয়াছেন, কাসালের সখ শ্ৰীমদ গৌরাঙ্গদেবের প্রেমস্বধামাখ। হরি-কথা শ্রবণ করিয়াছেন, আর এখন এই নগণ্য সামান্য ব্যক্তির সামান্য বাক্য শ্রবণ করিয়া হয় তো মনে মনে বলিবেন, “সেই আর এই !" বস্তুতঃ, মহাত্মণগণ ! আমি
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৬৭
অবয়ব