পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । ৬৭ • মহাতীর্থ-স্থানে প্রতি ষষ্ঠ বা প্রতি দ্বাদশবর্ষে যে মহামেলা হষ্টয় থাকে ; যে মেলায় বহুসংখ্যক সাধু, সন্ন্যাসী, সাধক, সিদ্ধ মহাপুরুষের সমাগম হয়; যে মেলায় লক্ষ লক্ষ গৃহস্থ স্ত্রী পুরুষ একত্রিত হয়েন; স্নান, পূজা, পাঠ, সাধু-সঙ্গ দ্বারা কয়েক দিন ধরিয়া, কখনও বা এক মাসকাল ধরিয়া যে সৎকথাপ্রসঙ্গ ও ভগবদ্বগুণানুবাদাদি হইয়া থাকে ; সেই মহামেলামওলী কি ধৰ্ম্ম-প্রচারার্থ মহাসভার কার্য্য-সাধন করে না ? বস্তুতঃ, এবম্বিধ নান ধারায় বিচক্ষণ ও পরিণাম-বিবেকী ঋষিগণ ধৰ্ম্ম প্রচারের অতি অমোঘ উপায় সকল অবলম্বন পূর্বক জনসমাজকে ক্রমে ধৰ্ম্মসমাজ করিয়া তুলিয়াছিলেন। খৃষ্ট্ৰীয়-ধৰ্ম্ম প্রচারকগণের ন্যায়, পথে পথে ভ্রমণ করিবার তাহুদিগের আবিষ্ঠক হইত না । এক্ষণে তাদৃশ মহাত্মাগণের অভাব, ও স্বদেশবাসী ও এতদ্ধৰ্ম্মাবলম্বী স্বাধীন রাজা ন। ੀਂ। প্রমুখ ধৰ্ম্ম-প্রচারের পথ রুদ্ধপ্রায় হইয়া গিয়াছে । কেবল কথকত।-পদ্ধতি ও যtএার দলের অভিনয় মাত্র সীমান্য পথ উন্মুক্ত আছে। ইহা ভারতবর্ষীয় জনসাধারণের কিয়ংপরিমাণে ধৰ্ম্মভাবোত্তেজনা করে সত্য, কিন্তু ধৰ্ম্মের সম্পূর্ণ সুচারু চিত্ৰ সৰ্ব্ব সমক্ষে প্রদর্শন করিতে পারে না । বরং কখন কখন লোক-রঞ্জনার্থ প্রাতঃস্মরণীয় জীবন্মুক্ত দেবর্ষি নারদকে ঝগড়। বাপাইবার পরম গুরু, বশিষ্ঠ আদিকে বিটুলে বামুনের ন্যায় বর্ণনা করিয়া, অতি উচ্চ আদর্শ পুরুষগণকে উপহাসাম্পদ করিয়া থাকে । পুরাণ-ব্যাখ্যাত। জগদগুরু মহর্মি কামদেবকে "বাস্দেব", ও জীবন্মুক্ত শুকদেবকে “কাশ দেব” .সাজাইয়। তাহাদের অলৌকিকী মর্য্যাদার মুখে দুর্য নেয়