পাতা:পরিমল - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিমল । আমিই জানি আর মা কালী জানে ; অন্য কারুর সাধ্য नश् ।।” ননদিনী মুখরা হইলেও তাহাকে বড় ভালবাসিত। সে পড়িয়া গিয়াছে শুনিয়া দুঃখ প্ৰকাশ করিয়া বলিতে লাগিল, “বেশী লাগেনিত বউ ? নাই বা জল আনতে ; কষ্ট করে আনবার কি দরকার ছিল ? যে জল তোলা আছে, তাতে কি আজ আর হতো। না ?” বউ বলিল, “একবারে শূন্য কলসী বাড়ী ফিরিয়ে । আনবো”, যত টুকু পেরেছি। কষ্টে স্বষ্টে এনেছি, ননদিনী বৌ এর কষ্টসহিষ্ণুতা দেখিয়া আরও দুঃখিত হইয়া বলিল, ‘আজ আর তুমি উঠ না, বেশ করে, যেখানটায় দরদ লেগেছে—চুণে হলুদে প্রলেপ করে দাও,--ব্যথা হবে না।--সেরে যাবে। সাবধান হয়ে নামতে হয় তা তোমারি দোষ বা কি ! যে বুড়ো কলসীআমিই একদিন পড়তে পড়তে রয়ে গেছলেম |” ননদিনী রন্ধন ফেলিয়া অগ্ৰে চুণে হলুদের প্রলেপ করিতে বসিল। এ কথা বাঙ্গালা ও ইংরাজী সংবাদপত্ৰে প্ৰকাশ হইয়াছিল। কিনা তাহা আমার অজ্ঞাত । পরিমল গ্রামস্থ যুবতীদিগের সঙ্গে কটী অবধি জলে ডুবাইয়া গাত্ৰ ধৌত করিতেছিল। সকলে তাহার মনরক্ষা করিবার জন্য তাহার রূপের অনেক সুখ্যাতি করিতেছিল। কেহ বরিতেছিল“পরিমল যেন যথার্থ পারি ” কেহ-“মানুষের এত রূপ হয় না ।” কেহ—“গায়ের রং দেখছি-যেন দুধে আলতা ।” কেহ-“মুখখান পদ্মের মতন।” কেহ-“তার উপরে চোক দুটো যেন কাল ভ্ৰমরের মতন।” কেহ-“নাকটী কেমন টিকল।” কেহ-“গালদুটী কেমন নিটোল।” কেহ-“ভ্ৰ দুটা কেমন যোড়া।” কেহ->