পাতা:পরিমল - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । “যে দিকে জল পড়ে, সেই দিকে ছাতি ধয়ে ।” সকলে মিলিয়া ছাদে উঠতে লাগিল। সঞ্জীববাবুর নিকট তাহা অজ্ঞাত রহিল না । তিনি সেই সোপানের চিলের ছাদের এককোণে লুকায়িত রহিলেন । একে একে দনু্যাগণ সকলেই তঁহাকে অতিক্রম করিয়া ছাদে প্ৰবেশিল । তাহারা ছাদের অপর পাশ্বে গমন করিলে তিনি তথাকার দ্বার ধীরে ধীরে নিঃশব্দে বন্ধ করিয়া-নীচে নামিয়া আসিলেন । অদ্য যদি তিনি সেই মৃতদেহের যথার্থ তত্ত্বানুসন্ধান না করিতে পারেন-তাহা হইলে তঁহার এত পরিশ্রমই বৃথা। বিশেষতঃ কিছুক্ষণ পরে যে তাহা স্থানান্তরিত করা হইবে, তাহার সন্দেহ নাই—এই ভাবিয়া তিনি নিৰ্ভয় চিত্তে যে গৃহে এতক্ষণে তুমুল বিপ্লব চলিতেছিল-তথায় পুনঃ প্ৰবেশ করিলেন। নিকটে দিয়াশালাই ছিল, পূর্বোক্ত ভগ্নপ্রদীপের পালিতা লইয়া প্ৰজ্জविड कब्रिदान । যে সিন্দুকে শব ছিল, তাহার আচ্ছাদনী উত্তোলন করিয়া দেখিলেন, শবদেহুটী কোন নিরুপমা সুন্দরী বালিকার। অধিকদিনের মৃতদেহ বলিয়া—সহজে চিনিবার কোন উপায় নাই ; স্থানে স্থানে সম্পূর্ণ বিকৃত হইয়াছে। সঞ্জীববাবু কখন বিমলাকে দেখেন নাই- কেবল পূৰ্ব্বোক্ত তৈলচিত্র দর্শনে বিমলার আকৃতি কিছু পরিমাণে হৃদয়ঙ্গম করিয়া লইয়াছিলেন মাত্র।