পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৭ )

তানুযায়ী কর্ম্ম না করিলে প্রথম কৌশলানুসারে মার্জিষ্ট্রেট সাহেব চৌকীদার নিযুক্ত করিবেন। দ্বিতীয় কৌশল এই, যে যাঁহারদিগের চৌকীদার নিযুক্ত করিবার ক্ষমতা থাকিবে, তাঁহারা যদিও চৌকীদার নিযুক্ত করেন, তথাপি কোন কারণ প্রদর্শন না করিয়াও মাজিষ্ট্রেট সাহেবেরা সই নিয়োগ অগ্রাহ্য করিতে পারিবেন। যাঁহারা চৌকিদার নিযুক্ত করিবেন, তৃতীয় কৌশল অনুসারে, তাঁহারা দণ্ডনীয় হইবেন।

 ৯। ভূম্যধিকারিরা চৌকীদার নিযুক্ত করিতে অবহেলা করিলে মাজিষ্ট্রেট সাহেবেরদের চৌকীদার নিযুক্ত করিবার ক্ষমতা থাকিবে। এই প্রথম কৌশলে এই সিদ্ধান্ত স্থির করিয়া লওয়া হইয়াছে, যে চৌকিদার রাখিবার নিমিত্তে গবর্ণমেণ্ট ভূম্যধিকারিদিগের উপর বল প্রকাশ করিতে পারেন। ইহা অত্যন্ত আশ্চর্য্য, যে রাজপুরুষেরা পল্লীগ্রাম সমাজ বিষয়ে এত বাদানুবাদ করিয়াও এত ভ্রান্ত রহিয়াছেন। আরও আশ্চর্য্য এই, যে যে সকল রাজ নিয়ম অনুসারে পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদারদিগকে নিয়মিত শান্তি-রক্ষকেরদের সাহায্য করিতে হয়, সেই সমুদায় রাজনিয়মেতেই এই কথার ঐক্য আছে, যে ঐ সকল চৌকীদার নিযুক্ত করা প্রজাদিগের স্বেচ্ছার অধীন। যদি গ্রামস্থ লোকেরা বোধ করেন, যে চৌকিদার রাখিবার প্রয়োজন নাই, তবে ঐ সকল রাজ নিয়ম অনুসারে গবর্ণমেণ্টের এমন ক্ষমতা নাই, যে চৌকিদার নিযুক্ত করিবার নিমিত্তে বল প্রকাশ করেন। গবর্ণমেণ্টের যদি ঐ রূপ ক্ষমতা থাকিত, তাহা হইলে মফঃসলের কোন ধনবান্ লোক আপন গৃহ রক্ষার্থে চৌকিদার রাখিয়া পরে তাহা-