পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১০ )

খিত হয় নাই। অনুমান হইতেছে, যে নিয়মকর্ত্তাদিগের এমন অভিপ্রায় নহে, যে এক বার কেহ চৌকীদার নিযুক্ত না করিলে চিরকালের নিমিত্তে সেই ক্ষমতা হইতে সে বঞ্চিত থাকিবে এবং চিরকালের নিমিত্তে মাজিষ্ট্রেট সাহেবেরা সেই পদে চৌকীদার নিযুক্ত করিবেন। কিন্তু সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট বিধি না থাকিলে বাস্তবিক যে সেইরূপ হইয়া উঠিবেক, তাহা অনায়াসেই বুঝিতে পারা যাইতেছে।

 ১১। আমারদিগের বিবেচনায়, তৃতীয় কৌশল অনুসারে, কোন ভূম্যধিকারিই গ্রামের চৌকীদার নিযুক্ত করিতে অগ্রসর হইবেন না। ভূম্যধিকারির নিযোজিত কোন চৌকীদার ডাকাইতী করিয়াছে, যদি এমন সাব্যস্ত হয়; আর বিচারকালীন যদি এপ্রকার সপ্রমাণ হয়, যে কর্ম্মে নিযুক্ত হইবার পূর্ব্বে ঐ ব্যক্তির উপর ডাকাইতিতে যোগ থাকার সন্দেহ অনেকের ছিল, তবে এই প্রস্তাবিত নিয়মানুসারে ভূম্যধিকারির দুই শত টাকা দণ্ড হইতে পারে। এইরূপ আশ্চর্য্য নিয়ম সকলেরই দৃষ্য বোধ হইবেক, সন্দেহ নাই। কিন্তু যখন এই নিয়ম প্রস্তাবিত হইয়া প্রকাশ পাইয়াছে, তখন অবশ্যই অনুমান করিতে হইবেক, যে ব্যবস্থাপক কৌন্সেল ইহাকে এরূপ দূষ্য বোধ করেন না। এইক্ষণে আমারদিগের বক্তব্য এই, যে মাজিষ্ট্রেট সাহেবেরা যে সকল থানাদার ও বরকন্দাজ নিযুক্ত করেন, যদি তাহারা নিযুক্ত হইবার পূর্ব্বে কোথাও ডাকাইতি করিয়াছিল কিম্বা পরে নিযুক্ত হইয়া কোন ডাকাইতির পোষকতা করিয়াছে, এমন সপ্রমাণ হয়, তথাপি তজ্জন্য তাঁহারা পদচ্যুত হয়েন না এবং