পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

 পল্লীগ্রামের চৌকীদার বিষয়ক প্রথমে যে সকল নিয়ম হয়, তাহা ইং ১৭৯৩ সালের ২২ আইনের পশ্চাল্লিখিত দুই ধারাতে প্রকাশিত আছে।

১৩ ধারা।

 সমস্ত পাইক ও চৌকীদার ও নেগাহবনি এবং পাছবান ও দোসদি অর্থাৎ হাড়ি চণ্ডাল ওগয়রহ গ্রাম গ্রামের সকল প্রকার রক্ষকেরা থানাদারীর দারোগাদিগের আজ্ঞাবহ এতবিতা হুকুমের তাবে জানা যাইবেক ইহাতে দারোগাদিগের কর্ত্তব্য যে তাহারদিগের নামনবিসীর বহী আপনারদিগের নিকটে রাখে ও ঐ রক্ষকদিগের কেহ তগীর হইলে কিম্বা মরিলে তাহার কর্মস্থানে অন্যকে নিযুক্ত করিতে জমীদার প্রভৃতি ভূম্যধিকারী কিম্বা যে কেহ ক্ষমতা রাখে সে যে কালে অন্য কাহাকেও সে কার্যে নিযুক্ত করে সেকালে তাহার নাম লিখিয়া দারোগার নিকটে পাঠায় যে উপরের লিখনানুসারে সেই নামনসিবীর বহীতে দাখিল হয় ইতি।

১৪ ধারা।

 গ্রাম গ্রামের পাইক প্রভৃতি যে সকল রক্ষকের প্রস্তাব ১৩ ত্রয়োদশ ধারায় আছে তাহারদিগের কর্ত্তব্য এই যে যে কালে কেহ হত্যা ও খুন করিতে কিম্বা ডাকাইতীতে অথবা সিন্ধ মারিতে কিম্বা চুরী করিতে প্রবৃত্ত হয় ও তাহার পশ্চাৎ লোকেরা শোর শার করিয়া চলে এপ্রকার লোককে ধরিয়া দারোগার নিকটে পাঠায় আর যে সকল ডাকাইত তাহারদিগের চৌকীর মোতালক গ্রাম সকলে ও তাহার সন্নিকট আশ পাশে লুকাইয়া থাকে ও যে সকল লুচ্চা ও দুশ্চরিত্র লোক সেই আশ পাশে বেড়ায় ও স্পষ্টতঃ তাহারদিগের দিনপাতের ঘোত্র কিছু না থাকে এবং আপনারদিগের গতিক ও আহওয়ালের আদ্যোপান্ত বেওরা নিশ্চয় কহিতে ও না পারে সে সকল লোকের সমাচার অরাতে দারোগাদিগের নিকটে দেয় ইহাতে যদি ঐ পাইক ওগয়রহ রক্ষকেরা এই হুকুমমতে কার্য্য না করে তবে ফৌজদারির সাহেব মাফিক দরখাস্ত যে ব্যক্তি তাহাকে রক্ষকের কার্যে নিযুক্ত করিয়া থাকে তাহার দ্বারা তগীর করাইবেন বরং যদি এমত প্রমাণ হয় যে তাহারা উপরের লিখিত কোন অপরাধী ও লুচ্চা প্রভৃতিকে আশ্রয় দেওন ও লুকাইয়া