সভয়ে বাধা দিয়া বলিল, “থাক্, বড়দার কথার আর কাজ নেই”—দীনু অপ্রতিভ হইয়া উঠিল। কহিল, “থাক্, বাবা, আমি দুঃখী মানুষ, কারো কথায় আমার কাজ নেই। কেউ যদি বেণীবাবুর কানে তুলে দেয় ত আমার ঘরে আগুন”- রমেশ আবার বাধা দিয়া কহিল, “ভট্চায্যি মশায়, আপনার বাড়ী কি আরো দূরে?”
“না, বাবা, বেশী দূর নয়, এই বাঁধের পাশেই আমার কুঁড়ে—কোন দিন যদি—” “আস্ব বই কি, নিশ্চয় আসব”- বলিয়া রমেশ ফিরিতে উদ্যত হইয়া কহিল, “আবার কাল সকালেই ত দেখা হবে—কিন্তু তাঁর পরেও মাঝে মাঝে পায়ের ধুলো দেবেন।” বলিয়া রমেশ ফিরিয়া গেল। “দীর্ঘজীবী হও—বাপের মত হও!” বলিয়া দীনু ভট্চায অন্তরের ভিতর হইতে আশীর্ব্বচন বাহির করিয়া ছেলেপুলে লইয়া চলিয়া গেল।
এ পাড়ায় একমাত্র মধু পালের মুদির দোকান নদীর পথে হাটের একধারে। দশ বার দিন হইয়া গেল, অথচ সে বাকী দশ টাকা লইয়া যায় নাই বলিয়া, রমেশ কি মনে করিয়া নিজেই একদিন সকালবেলা দোকানের উদ্দেশে বাহির হইয়া পড়িল। মধু পাল মহাসমাদর করিয়া ছোটবাবুকে বারান্দার উপর মোড়া পাতিয়া বসাইল এবং ছোট বাবুর আসিবার হেতু শুনিয়া গভীর আশ্চর্য্যে অবাক হইয়া গেল। যে ধারে, সে