না। সে ভাইকে আরও একটু বুকের কাছে টানিয়া লইয়া সহাস্যে কহিল, “ছোটবাবু কি রে! তিনি যে তোর দাদা হ’ন। বেণীবাবুকে যেমন ‘বড়দা’ ব’লে ডাকিস্, এঁকে তেম্নি ‘ছোটদা’ ব’লে ডাকতে পারিস্ নে?” বালক বিস্ময়ে আনন্দে চঞ্চল হইয়া উঠিল—“আমার দাদা হন তিনি? সত্যি বল্চ দিদি?” “তাই ত হয় রে”—বলিয়া রমা আবার একটু হাসিল। আর যতীনকে ধরিয়া রাখা শক্ত হইয়া উঠিল। খবরটা সঙ্গীদের মধ্যে এখনি প্রচার করিয়া দিতে পারিলেই সে বাঁচে। কিন্তু ইস্কুল যে বন্ধ! এই দুটো দিন তাহাকে কোনমতে ধৈর্য্য ধরিয়া থাকিতেই হইবে। তবে, যে সকল ছেলেরা কাছাকাছি থাকে, অন্ততঃ তাহাদিগকে না বলিয়াই বা সে থাকে কি করিয়া? সে আর একবার ছট্ফট্ করিয়া বলিল, “এখন যাব দিদি?” “এত বেলায় কোথায় যাবি রে?” বলিয়া রমা তাহাকে ধরিয়া রাখিল। যাইতে না পারিয়া যতীন খানিকক্ষণ অপ্রসন্নমুখে চুপ করিয়া থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন দিদি?” রমা স্নিগ্ধস্বরে কহিল, “এত দিন লেখাপড়া শিখ্তে বিদেশে ছিলেন। তুই বড় হ’লে তোকেও এম্নি বিদেশে গিয়ে থাক্তে হবে। আমাকে ছেড়ে পার্বি থাকতে, যতীন্?” বলিয়া ভাইটিকে সে আর একবার বুকের কাছে আকর্ষণ করিল। বালক হইলেও সে তাহার দিদির কণ্ঠস্বরে কি রকম একটা পরিবর্ত্তন অনুভব করিয়া বিস্মিতভাবে মুখপানে চাহিয়া রহিল। কারণ, রমা